এইচ.এম. খলিল :
বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের গলাকাটা বিল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে দিয়াতলী গ্রামের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক আব্দুল খালেক জানান, মে মাসে তার বিল হয়েছে একশত সাতষট্টি টাকা, জুন মাসে বিল হয়েছে একশত তেইশ টাকা, এবং পরবর্তীতে জুলাই মাসে তার বিল হয়েছে দুই হাজার তেপান্ন টাকা। মে মাস ও জুন মাসের দুইটি বিল পরিষদ হওয়ার পরেও তার জুলাই মাসে বিল হয়েছে দুই হাজার তেপান্ন টাকা। আব্দুল খালেকের মে ও জুন দুই মাসের বিল হয়েছে দুই শত নব্বই টাকা, আর শুধু জুলাই মাসে বিল হয়েছে দুই হাজার তেপান্ন টাকা। পল্লী বিদ্যুতের এই গলাকাটা বিল করার কারণে এলাকার গ্রাহকেরা যে কোন সময় ফুঁসে উঠতে পারে। কলসকাঠি বন্দরে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক আশীষ কুমার গাঙ্গুলী জানান, তার জুলাই মাসে বিল হয়েছে তিনশত ৯৮ টাকা, আর আগস্ট মাসে বিল হয়েছে ছয়শত ৬৯ টাকা। কলসকাঠি ইউনিয়নের বেবাজ গ্রামের আব্দুল খালেক আকন জানান, জুন মাসে তার বিল হয়েছে একশত চৌরাশি টাকা, জুলাই মাসে বিল হয়েছে ছয়শত ৭২ টাকা, আর আগস্ট মাসে মিল হয়েছে চৌদ্দশ ৬ টাকা। এইভাবে বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের এই গলাকাটা বিলে দিশেহারা। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ বরিশাল ১ এর বাকেরগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন গ্রাহকেরা বেশি ব্যবহার করেছে তাই বিল বেসি হয়েছে। ডিজিএম এর কাছে জানতে চাইলে এক মাসে ৩০০ টাকা, পরের মাসে ২০০০টাকা বিল বিল কি করে হয়, তখন তিনি বলেন হতেই পারে। বিভিন্ন ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।