১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

বাকেরগঞ্জে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম !

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি॥
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৬নং ফরিদপুর ইউনিয়নে গভির রাতে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে গুরুতর জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, আহতরা মো. মনির হাওলাদার (৪৫) ফরিদপুর ইউনিয়নের মধ্য ভাতশালা গ্রামের বাসিন্দা এখলাছ হাওলাদারের ছেলে ও তার ছেলে বউ কুলসুম বেগম (৪০)।

এ বিষয়ে স্ত্রী কুলসুম বেগম বার জনকে আসামী করে গত ৪ জুলাই (শনিবার) বাকেরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ জুন (সোমবার) বাকেরগঞ্জ থানায় স্থানীয় সোহেল মোল্লা, রবি মোল্লা, বারেক মোল্লা ও মহিউদ্দিন মোল্লা এদের মামলার সাক্ষি হওয়ায় রাত ২টায় মূলহোতা গোলাম সরোয়ার সবুজের নেতৃত্বে মনির হাওলাদারের ঘরের সীঁদকেটে একজন ভিতরে প্রবেশ করে। অতঃপর সে দরজার খুলে দিয়ে বাহিরে অবস্থান আর ১০ থেকে ১২ জন ঘরের মধ্যে প্রবেশ করলে তাদের ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখতে পান ৪/৫ জনের হাতে ধারালো দেশীয় অস্ত্র রামদা, ছ্যানা, লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে স্ত্রী কুলসুমকে খুজতে থাকে। স্বামী মনির হাওলাদার বিছানা থেকে উঠতেই দুবৃত্তরা তাকে রামদা এলোপাথারী কোপতে থাকে। তার চিৎকার স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। তাদের ডাক-চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। আহত কুলসুমের বোন ও স্থানীয় পুলিশ জহিরুল ইসলামসহ তার সঙ্গীরা ঘটনা স্থানে এসে আহতদের উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরবর্তী স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি পর অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাদেরকে বরিশাল-শের-ই-বাংলা (শেবাচিম) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় মাঈনুল ইসলাম সুমন জানান, আহত দম্পত্তির বাড়ির সামনে গত ২০ জুন (শনিবার) জনৈক নজরুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় একটি মামলা হয় (যার মামলা নং-২৩)। এতে প্রধান সাক্ষি কুলসুম বেগমকে ঘায়েল করতে ওই মামলার আসামী স্থানীয় মোসলেম আলীর ছেলে মুলহোতা গোলাম সরোয়ার সবুজ, ইলিয়াস মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা, রনি মোল্লা, বারেক মোল্লা ও মহিউদ্দিন মোল্লার যোগসাসোশে এ নরকিয় হামলা চালানো হয়। এদিকে শেবাচিম অর্থবেডিক বিভাগের কর্তব্যরত এক চিকিৎসক জানান, ধারালো অস্ত্রের গভীর আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। তাদের দ্রুত উন্নত চিকিৎসা না দেয়া হলে মৃত্যুর ঝুকি রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রের আরও জানা যায়, সন্ত্রাসী বাহিনীর গডফাদার গোলাম সরোয়ার সবুজ অন্যান্য আসামীদের নামে বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজী, হত্যার চেষ্টা, গুম, জমি জবর দখল ও মাদকের একাদিক মামলা রয়েছে। স্থানীয় ওই চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসাী।

সর্বশেষ