১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

বাকেরগঞ্জে ৫ হাজার টাকায় ভিজিডির কার্ড কিনেও মিলছে না চাল!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার এবং চৌকিদারের বিরুদ্ধে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে ভিজিডি কর্মসূচির কার্ড বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে, কার্ডের বিনিময়ে ২৪৯ জন হতদরিদ্র নারীদের কাছ থেকে প্রায় ১৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করলেও ভিজিডি’র কার্ড দেয়া হয়নি।

এছাড়া তালিকায় নাম থাকার পরও অনেকে বরাদ্দের চাল পাচ্ছে না। অসহায় দরিদ্রদের ঠকিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাত করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় বরিশাল জেলায় ২৭ হাজার ৯১৪ জন হতদরিদ্র নারীকে প্রতিমাসে বিনামূল্যে ৩০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিচ্ছে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে সরকারের এই খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন ৩ হাজার ৩০৭ জন নারী।

ওই উপজেলার কবাই ইউনিয়নে সরকারিভাবে ২৪৯ জন নারীর জন্য ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ হলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম্য চৌকিদাররা কার্ড দেয়ার কথা বলে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে গণহারে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা করে আদায় করেন।

২ বছরের কর্মসূচির দেড় বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত অনেক অসহায় দুস্থ নারী কার্ড পায়নি। আবার তালিকায় নাম থাকার পরও অনেকে বরাদ্দের চাল পাচ্ছেন না।

চেয়ারম্যান-মেম্বর মিলে হতদরিদ্রদের চাল আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ করেন বঞ্চিতরা। তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কবাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল হক তালুকদার বলেন, পরিষদ থেকে ভিজিএফ কার্ড দেয়ার পর কেউ কার্ড বিক্রি করে দিলে তার জন্য আমি দায়ী না। আমার নাম করে কেউ অর্থ আদায় করলে সেজন্যও আমি দায়ী নই। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।

জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জানান, কবাই ইউনিয়নে হতদরিদ্র নারীদের ভিজিএফ চাল আত্মসাত ও অর্থ আদায়ের অভিযোগ তদন্ত চলছে। এ জন্য বাকেরগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে অভিযোগের তদন্ত করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সূত্র- বাংলাদেশ জার্নাল

সর্বশেষ