২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাণিজ্য সক্ষমতা বাড়াতে আসছে জাতীয় লজিস্টিকস উন্নয়ন নীতি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

জাতীয় প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সক্ষমতা বাড়ানো, দক্ষতার সঙ্গে পণ্য পরিবহন ও সেবা নিশ্চিতে ‘জাতীয় লজিস্টিকস উন্নয়ন নীতি-২০২৪’ এর খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাড়াতে লজিস্টিকস অবকাঠামো উন্নয়নের উদ্দেশে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) যৌথ উদ্যোগে লজিস্টিকস ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কিং কমিটি করা হয়। এর আগে মতামত নেওয়ার জন্য জাতীয় লজিস্টিকস উন্নয়ন নীতি-২০২৪ এর খসড়ার গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
জাতীয় প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সক্ষমতা বাড়ানো, দক্ষতার সঙ্গে পণ্য পরিবহন ও সেবা নিশ্চিতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়াকে সভাপতি করে ২৯ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় লজিস্টিকস উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। সরকারি, বেসরকারি ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে নিয়ে চলতি গত বছরের ২২ জানুয়ারি ২৯ সদস্যবিশিষ্ট এ জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রথম সভা হয়েছে গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি।
জাতীয় লজিস্টিকস উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন, বিদ্যমান নীতি কাঠামো সহজ করা, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো ইত্যাদি বিষয়ে এ কমিটি কাজ করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি এবং লজিস্টিকস খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে সভায় আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের জাতীয় প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, রপ্তানি সক্ষমতা বাড়ানো, বিনিয়োগ আকর্ষণ ও ব্যাপক কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এ নীতি করা হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে লজিস্টিকস পরিষেবার ব্যয় খাতভেদে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে, যা কমানো গেলে সার্বিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ ছাড়া ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের ফলে একদিকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়বে, অন্যদিকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রাপ্ত বিভিন্ন শুল্ক সহায়তা, ট্রেড রিলেটেড সাপোর্ট মেজারস, স্পেশাল অ্যান্ড ডিফারেনশিয়াল ট্রিটমেন্ট এবং অনেক রিডাকশন কমিটমেন্টের আওতা সংকুচিত হবে। এ নেতিবাচক প্রভাব নিরসনে একটি উন্নত ও দক্ষ লজিস্টিকস ব্যবস্থা স্থাপন করার বিষয়ে সভায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে মন্ত্রিসভায় ড. ওয়াজেদ মিয়ার নামে নাটোরে স্থাপনের জন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় খসড়া আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে বলেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

সর্বশেষ