২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

বানারীপাড়ায় থানা কম্পাউন্ডে মারামারি, নিরাপত্তাহীনতায় আ’লীগ পরিবার

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
বানারীপাড়ায় থানা কম্পাউন্ডে সালিশ বৈঠক চলাকালীন সময় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে থানায় ঘন্টা বাজিয়ে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় উভয় পক্ষের একজন করে ওসি তদন্ত’র রুমে আনা হয়। সেই কক্ষে মৃত আ: রশিদ সর্দারের পুত্র ব্যবসায়ী হুমায়ুনের উপর চড়াও হয় মৃত আ: হাকিম সর্দারের পুত্র কবির সর্দার। এই সময় হুমায়ুনের নাকে মারাক্তক রক্ত জখম হয়। হুমায়ুনকে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। তাৎক্ষনিক বানারীপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থলে হয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সালিশ বৈঠকের উপস্থিত সকলকে থানা কম্পাউন্ড থেকে বের করে দেয়া হয়। গত ২১ আগষ্ট সন্ধ্যা আনুমানিক ৮টার দিকে উপজেলার নরউত্তমপুর গ্রামের মো: ইউসুফ, মো: খালেক ও ফারুক সর্দার গংদের নিয়ে সালিশ বৈঠক বসে থানা কম্পাউন্ডে গোল ঘরে। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃত আ: হাকিম সর্দারের পুত্র কবির সর্দার নিজেকে সালিশ বৈঠকে পক্ষ ভূক্ত করার জন্য সালিশদেরকে চাপ সৃষ্টি করে। এর প্রতিবাদ করায় ঘটনাস্থলে ফিরোজ হুমায়ুন মামুন ও কবির, সাঈদদের মাঝে ধস্তাধস্থি হলে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই জুবায়ের সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় থানায় দীর্ঘ সময় ঘন্টা বাজানো হলে গোটা বন্দরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ওসি তদন্তের রুমে হুমায়ুন সর্দার ও কবির সর্দারকে নিয়ে আসে। ওসি তদন্তের রুমে অবস্থান কালে কবিরের এলোপাতারি ঘুষিতে হুমায়ুনের নাক ফেটে যায় বলে জানান হুমায়ুন সর্দার।
হুমায়ুন সর্দার দীর্ঘদিন বানারীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার পরে উন্নয়ত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এব্যাপারে হুমায়ুন কবির’র বড় ভাই আ’লীগ নেতা ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক ফারুক সর্দার বলেন,‘ থানা কম্পাউন্ডে ও থানার মধ্যে অনধিকার প্রবেশ করে কবির সর্দার আমার ভাইকে মারধর করার পাশাপাশি সালিশদের অপমান করেছে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা অবনতি গঠিয়ে থানার ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। আমি শোকের মাসে থানার মধ্যে এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আনতে চাইনি। বর্তমানে থানা কর্মকর্তাদের আচরণ আমাকে মুখ খুলতে বাধ্য করেছে। থানার সৃষ্ঠ ঘটনা সিসি টিভি‘র ফুটেজ প্রমাণ দিবে। কবির সর্দার আমাকে হুমকি ধামকি প্রদান করছে, যে কোন সময় আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে এরা। কবির সর্দারের বাসায় এবাধীক পুলিশ কর্মকর্তা ভাড়া থাকায় আইন কানুনের তোয়াক্কা করেনা কবির। ’
এব্যাপারে এসআই জুবায়ের বলেন,‘কবির সর্দার কোন পক্ষ নয়, অপরদিকে সালিশে অন্তভূক্ত পক্ষদের কাছ থেকে মিমাংশা পত্র দেয়ার সাদা কাগজে সাক্ষর নিয়েছেন সালিশগণ।’
এব্যাপারে ওসি তদন্ত জাফর আহম্মেদ বলেন,‘ থানার মধ্যে এমন কোন ঘটনা ঘটে,ি ঘটলে আমরা অবশ্যই জানতাম।’
এব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ চিকিৎসাধীন থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
সূত্রে পাওয়া যায় থানার ওসি তদন্ত জাফর আহম্মেদ কবির সর্দারের ভাড়াটিয়া।
এব্যাপারে কবির সর্দার বলেন,‘ আমি সালিশ বৈঠকে গিয়েছিলাম, সালিশদেরকে বলেছি আমাকেও পক্ষ ভূক্ত করেন। তারা আমাকে পক্ষভূক্ত করেনি। এসময় হুমায়ুন গংদের সাথে কথার কাটাকাটি হয়েছে। পুলিশ পরিস্থতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে। থানার মধ্যে ধাক্কাধাক্কিেিত কারো নাক ফাটতে পারে, আমি জানিনা। তবে ওসি স্যার তার রুমে নিয়ে উক্ত ঘটনাটি সমাধান করে দিবেন এমন কথা বলে আমাদের স্বাক্ষর রেখে বিদায় দিয়েছে।’
এব্যাপারে একজন সালিশ বানারীপাড়া সদর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,‘ তিন পক্ষের মধ্যে সালিশের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। কবির সর্দার ওখানে কোন পক্ষ নয়। হঠাৎ করে কবির এবং হুমায়ুন গংদের মাঝে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হলে থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সালিশে পক্ষদের কাছ থেকে ননজুডিসিয়াল ১০০ (একশত) টাকা করে মোট ৩টি স্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রোয়েদাদ তৈরী করেছি।’

সর্বশেষ