১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বানারীপাড়ায় ধর্ষণে মাদরাসা ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা ও ভ্রুণ হত্যার অভিযোগ : প্রেমিক গ্রেফতার

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের বানারীপাড়ায় ৮ম শ্রেণীর এক মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরে ভ্রুণ হত্যা করে পূনরায় তাকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরে আসামী হাসিবুল হাওলাদারকে গ্রেফতার করে বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকালে বরিশালে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এর আগে ভিকটিম বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ধর্ষণ ও ভ্রুন হত্যার অভিযোগে উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে লম্পট হাসিবুল হাওলাদারকে (১৯) আসামী করে বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই দিন বিকালেই নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে হাসিবুলকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে হাসিবুল হাওলাদার পার্শ্ববর্তী জিরারকাঠি গ্রামের নজরুল ইসলাম কবিরের মেয়ে ও স্থানীয় মসজিদবাড়ী দারুস সুন্নত আলিম মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রীকে পথেঘাটে ও মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে একাকি পেলে কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলে উত্ত্যক্ত করতো এবং প্রেমের প্রস্তাব দিত। এক পর্যায় দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে সুবাদে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোর পূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে গত ৫ মাস পূর্বে সে ৪ সপ্তাহের গর্ভবতী হয়ে পড়ে। বিষয়টি হাসিবকে জানালে কৌশলে টাইগার (কোল্ড ড্রিংস) এর সাথে বাচ্চা নষ্ট করার ঔষধ মিশিয়ে তাকে পান করায়। ফলে তার যৌনাঙ্গ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরন হয়ে পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গর্ভপাত হয়ে যায়। বিষয়টি হাসিবকে জানালে সে ভিকটিমকে বিয়ের আশ্বাস দেয় এবং কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে। ভিকটিম সরল বিশ্বাসে লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে।

এদিকে হাসিব ১১ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে ভিকটিমের মুঠোফোনে কল করে তাদের বসত ঘরের দরজা খোলার জন্য বলে। সরল বিশ্বাসে দরজা খুলে দিলে হাসিব ভিকটিমের শয়ন কক্ষের মধ্যে প্রবেশ করে তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ভিকটিম ডাকচিৎকার দিলে তার মা মেরিনা বেগম এগিয়ে এলে লম্পট হাসিব দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার ওসি মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান, মামলা নিয়ে আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে এবং ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

 

সর্বশেষ