১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
অর্ধশত বছর পর পিরোজপুর জেলা যুবলীগের সম্মেলন শনিবার বরগুনায় জেলেকে হ*ত্যার অভিযোগ মৎস্য বিভাগের বিরুদ্ধে, ভয়ে মাছ শিকার বন্ধ ‘লোভ দেখানো নির্বাচন থেকে আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলাম’ দুমকীতে কাপ-পিরিচ মার্কার প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হা*মলা, আ*হত ৫ ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন গতি ২০ এমবিপিএস, নীতিমালা আসছে: পলক দুমকিতে কাপ পিরিচ মার্কার প্রার্থী কাওসার আমিনের উপর হা*মলা বাকেরগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে বিতণ্ডায় যুবককে হত্যা, সহপাঠীর যাবজ্জীবন একই নম্বর পেয়ে জিপিএ-৫ পেল মির্জাগঞ্জের যমজ ভাই মুলাদী ও হিজলা উপজেলার ৬০ শতাংশ ভোটকেন্দ্রই অতিগুরুত্বপূর্ণ চিহ্নিত জলদ*স্যুদের কবলে থাকা লো*মহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিলেন প্রকৌশলী আলী

বাবুগঞ্জে জামায়াত নেতা জামালের হামলায় হাসপাতালে কাতরাচ্ছে আ.লীগ নেতা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি :: বরিশালের বাবুগঞ্জে জামায়াত নেতা জামাল হোসেন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা শামিম হাওলাদার মুমূর্ষ অবস্থায় শের-ই-বাংলা হাসপাতালের চিকিৎস্যাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় এয়াপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ আসামী গ্রেফতারের কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বলেন জানিয়েছেন হামলার গুরুতর আহতরা। তবে পুলিশ বলছেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নে বটতলা নামক স্থানে গত ২২ মে শুক্রবার জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ভাইকে হত্যার চেষ্টায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় মৃত. আব্দুর রশিদ হাওলাদারের ছেলে ও চাঁদপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শামীম হোসেন এবং তার ছোট ভাই মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ। গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা। আহতদের মধ্যে মোঃ শামীম হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে সেখানে করোনাআক্রান্ত রোগীর চাপ বেশি থাকায় পূনরায় বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করেন চিকিৎসকরা।

আহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন তাদের পরিবারের সাথে প্রতিবেশী আমজাদ আলীর ছেলে জামাল হোসেন গংদের বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে গত ২২ মে শুক্রবার দুপুরে তাদের চাচাতো ভাই মাসুদ করিমের বাড়ি দখল করতে আসেন জামাল হোসেনের নেতৃত্বে তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা। এসময় তার শামীম ও তার ভাই ফয়সাল এ ঘটনার প্রতিবার করলে ক্ষিপ্ত হয় সন্ত্রাসীরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জামায়াত নেতা জামাল হোসেন, হারুনুর রশিদ, রবিউল ইসলাম রাতুল(বাবু) আনসার উদ্দিন ও তার ছেলে শাকিলসহ তাদের সহযোগী ১০-১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মোঃ শামীম হোসেন ও ফয়সালের উপরে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হামলাকারী জামাল হোসেন জামায়াতপন্থী ও ভূমিদস্যু হিসেবে এলাকায় পরিচিত এবং বিভিন্ন সময়ে তার নিজ বাসায় জামায়াত শিবিরের ঘরোয়া মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এলাকায় তার নামে জমিজমা জবরদখলসহ দীর্ঘদিন বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে ওই হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জামাল হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা।

এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাহিদ বিন আলম জানান, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শন করেছেন। অভিযুক্তদের বিষয়ে আহতদের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত ও মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

সর্বশেষ