২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাবুগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধার জমিতে জোর পূর্বক ড্রেন নির্মাণের চেষ্টা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

শামীম আহমেদ ::: বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যদের জমিতে থাকা গাছপালা, ফসলি জমি ও পুকুর নস্ট করে পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলার ৪ নং চাঁদপাশা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের আরজি কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম ওরফে সত্তার বাদী হয়ে বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৪/২০২৩।

মামলা সূত্রে জানাযায়, ওই এলাকার মৃত গোলাম কবির ওরফে ইসমাইল আকন এর ছেলে মো: সাইফুল ইসলাম (২৬), মৃত আমজেদ এর ছেলে আব্দুস সত্তার (৫০), ফয়জর দালাল এর মেয়ে মাসুদা (৪৩)সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন গত ২ জানুয়ারী সোমবার বেলা ১২ টার দিকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই জমিতে থাকা বাদীর গাছপালা, ফসলি জমি ও পুকুরের পাড়ের মাটি কেটে ড্রেন নির্মাণের চেষ্টা চালায়। পরে বাদী বিষয়টি টের পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে বাধা দেয়। এসময় আসামীরা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম ও তার পরিবারের সদস্যদের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোসলেহ্ উদ্দিন ও তার সহযোগী খালেক আকন এর ছেলে আমিনুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে মারধর করে। এসময় ভূক্তভোগী নিজেদের রক্ষার্থে জাতীয় সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। এসময় সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে ইউপি সদস্য মোসলেহ্ উদ্দিন পুলিশের ওই টিমকেও হুমকি প্রদান করে।

ঘটনাস্থলে স্থানীয় উপস্থিত ব্যাক্তিরা সাংবাদিকদের জানান, আসামীরা তাদের কৃষি জমিতে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় তারা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিমের ভোগদখলীয় রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমিতে থাকা মুরগীর ফার্ম, কবরস্থান ও মাছ চাষের পুকুরের দুই পাড়ের মাঝ দিয়ে মাটি কেটে তারা ওই কৃষি জমির পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করতে চাচ্ছে।

তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম জানান, আমাদের জমির উপর থেকে পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করতে চাওয়া বিষয়টি সম্পূর্ন জোর পূর্বক। আমাদের ভিটাবাড়ির একাংশ দিয়ে এই ড্রেন নির্মান করলে আমাদের কবরস্থান, মাছের পুকুর, পোল্টি ফার্ম ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আমাদের জমি ব্যাতিত পাশের অন্যত্র অব্যবহৃত জমি থেকেও ওই পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা গেলেও আসামীরা ইউপি সদস্য’র ইন্ধনে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে আমাদের ভিটা বাড়ি নস্ট করে তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে আসছে।

অপরদিকে ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, তৃতীয় এক মাধ্যম দিয়ে ওই ইউপি সদস্য মোসলেহ্ উদ্দিন আমাদের প্রস্তাব পাঠায় তাকে এক লাখ টাকা দিলে ওই স্থান থেকে আর ড্রেন নির্মান করা হবে না। এবং অন্য স্থান দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করা হবে।

স্থাণীয় একটি বিশ্বস্থ সূত্রে জানায়, এক সময়ে বাবুগঞ্জ উপজেলার সর্বহারা দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন এই ইউপি সদস্য মোসলেহ্ উদ্দিন।

বিষয়টি জানতে চাইলে ওই ইউপি সদস্যর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ