১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাবুগঞ্জে বেত্রাঘাত ও ইট দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষার্থীর মাথা ফাটালেন মাদ্রাসাশিক্ষক

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় এক মাদরাসাছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে- গত শনিবার বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের উত্তর দেহেরগতি দারুল কওমিয়া ফোরকানিয়া হাফিজিয়া নূরানী মাদরাসায়। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্যাতনের শিকার আহত ছাত্রের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। শনিবারের এই ঘটনাটি দুদিন ধামাচাপা পরে থাকলেও সোমবার পুরোপুরি প্রকাশ পেয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের উত্তর দেহেরগতি দারুল কওমিয়া ফোরকানিয়া হাফিজিয়া নূরানী মাদরাসায় ওই শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করা হয়। ফজর নামাজের আগে অকারণে মাদরাসার প্রধান হাফেজ মাওলানা মো. নূর হোসনের বাসভবনের সামনে যায় শিক্ষার্থী মো. তুহিন। এমন ঘটনা জানার পর তুহিনের কাছে জানতে চান ওই শিক্ষক, কেন তুহিন নূর হোসনের বাসভবনের সামনে গিয়েছিল। তুহিন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে আতঙ্কিত হয়ে সময় ক্ষেপণ করে। এতে শিক্ষক খেপে যান। মাওলানা মো. নূর হোসন উত্তেজিত হয়ে তুহিনকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। আঘাতে তার মাথা ফেঁটে যায়। সংবাদ পেয়ে তুহিনের পিতা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সকাল ৮টার দিকে মাদরাসায় গিয়ে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎকের কাছে নিয়ে যান। তুহিনের মাথায় সাতটি সেলাই দেওয়া হয়।

মাদরাসা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মো. হুমায়ুন হাওলাদার বলেন, শিক্ষার্থী মো. তুহিনকে বেত্রাঘাত ও ইট দিয়ে মাথা ফাঁটানোর ঘটনায় মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মো. নূরু হোসেনকে মাদরাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার মাদরাসা থেকে বহিষ্কার তাকে করা হয়।”

সর্বশেষ