১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
এবার নির্মাণাধিন ভবন থেকে চাঁদাবাজি রোধ করতে বিএমপির নতুন উদ্যোগ বরিশালে অনলাইন জুয়ারী গ্রেফতার বরিশাল বিমানবন্দর এরিয়া ভাঙ্গন রোধে কাজ করছে সরকার : পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বিমানবন্দরে গৃহবধূকে মারধর।। বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা: চরম দুশ্চিন্তায় জেলেরা ! মায়ের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ মেয়ের, শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন উজিরপুরে তাবিজ দেয়ায় ইমামকে বহিষ্কার, খুলে নেওয়া হলো দানের মালামাল বাউফলে বজ্রপাতে শ্রেণি কক্ষে সংজ্ঞা হারিয়ে হাসপাতালে দুই শিক্ষার্থী চরফ্যাশনে বিদ্যুৎস্পৃ*ষ্টে প্রাণ গেল শিশুর দশমিনায় মোবাইল না দিয়ে মায়ের বকাঝকা, এসএসসি পাস শিক্ষার্থীর আ*ত্মহ*ত্যা

বাবুগঞ্জে স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত লাশঃ ৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি: বরিশালের বাবুগঞ্জের দেহেরগতি ইউনিয়নের রাকুদিয়া গ্রামের হানিফ হাওলাদারের পূত্র স্কুল ছাত্র হৃদয় ওরফে ইব্রাহীম (১৫) এর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যা দাবি করে নিহত হৃদয়ের এর দাদি পেয়ারা বেগম ৪ জনকে নামধরা ও ৩-৪ জন অজ্ঞাতনামা অাসামী করে বাবুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা নং-২। তারিখ ৮/৯/২০২০। মামলার আসামিরা হল: ১। মোঃ জুলফিকার মোল্লা( ৪৫) পিতাঃ মৃত্যু ফজলে করিম মোল্লা ২। মোঃ রাব্বি মোল্লা (৩৫), পিতাঃ মোঃ ফিরোজ মোল্লা ৩।মোঃ ফিরোজ মোল্লা(৬৫) পিতাঃ মৃত্যু মোশাররফ মোল্লা ৪। ইভা আক্তার (১৭), পিতাঃ জুলফিকার মোল্লা।
ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনার ২১ দিন পর হত্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানাযায়, ঘটনার দিন ১৮ আগষ্ট সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ না থাকায় হৃদয়ের মা পাশের ঘরে অবস্থান করে। পরে হৃদয়ের বাবা ঘরে প্রবেশ করে গলায় রশি প্যাচানো অবস্থায় দেখেতে পায় ও রাব্বি মোল্লা কে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখে ও ডাকচিৎকার দেয়।
এসময় এস্থানিয়দের সহযোগিতায় হৃদয়কে উদ্ধার করে তাৎক্ষনিক শেবাচিম হাসপাতেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করে।
হৃদয়ের বাবা হানিফ হাওরাদার বলেন, আমার ছেলে প্রেমের বলি হয়েছে। নিহতের ঘটনাটি ছিলো পূর্ব পরিকল্পিত। একই বাড়ির জুলফিকারের স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় জুলফিকারের ভাড়াটিয়াদের হাতে জীবন দিতে হয়েছে হৃদয়ের।
নিহত হৃদয়ের দাদি মামলার বাদি পেয়ারা বেগম বলেন, জুলফিকারের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কের জেরে একাধিকবার শালিস করেছে স্থানিয় যুবকরা।
শালিসের নামে মারধর ও স্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে শাসিয়ে দেয়। শালিসের পরও মেয়ের সাথে সম্পর্ক রাখায় জুলফিকার হৃদয়কে পিটাতে পিটাতে নদীতে ফালায় এবং একাধিকবার প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার নজিরও রয়েছে। হৃদয়ের মা নাজমা বেগম বলেন, ঘটনার দিন বিকালে একই বাড়ির কয়েকজন মারধর করে কান থেকে রক্তপাত ঘটায়। সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ না থাকায় আমি পাশের ঘরে অবস্থান করি। পরে হৃদয়ের বাবা ঘরে প্রবেশ করে গলায় রশি প্যাচানো অবস্থায় দেখেতে পেয়ে ডাকচিৎকার দেয়। হৃদয়কে উদ্ধার করে তাৎক্ষনিক শেবাচিম হাসপাতেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করে।
হত্যার হুকমদাতা জুলফিকার এখন বিভিন্ন ভাবে মামলায় না যাওয়ার জন্য হুমুকি ও জমি, নগদ টকার প্রলোভন দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। তবে হৃদয়ের মৃত্যুর পর জুলফিকার পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
বাবুগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মানবেন্দ্র জানায়, ঘটনার দিন আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওই ঘটনায় নিহত হৃদয়ের দাদি পেয়ারা বেগম একটি মামলা দায়ের করেন। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ