২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বারোমাসি তরমুজে চাষির মুখে খুশির ঢেউ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় বারোমাসি ব্ল্যাক বেবি তরমুজের চাষ হচ্ছে। উপজেলার গলিয়ারা ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামে এই তরমুজের চাষ করেন কৃষক কাজী আনোয়ার হোসেন। ভালো ফলন পেয়ে খুশি তিনি। তার মাচায় ঝুলে থাকা তরমুজ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন আশেপাশের গ্রামের কৃষকরা।

জমিতে গিয়ে দেখা যায়, উঁচু বেডের মাটি বিশেষ পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। তার মাঝে গোল করে কাটা স্থানে তরমুজ গাছ লাগানো হয়েছে। মাচায় ঝুলছে তরমুজ। ছিঁড়ে না পড়ার জন্য ব্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাতাসে সারি সারি তরমুজ দুলছে।

কাজী আনোয়ার হোসন বলেন, তিনি ইউটিউবে দেখে এই তরমুজ চাষে আগ্রহী হন। কিশোরগঞ্জ থেকে বীজ সংগ্রহ করেন। বিশেষ পলিথিন দিয়ে ঢাকা বেড তৈরি করেন। মাচা তৈরি করেন। এতে পোকার আক্রমণ কম হয়। প্রথমে স্থানীয় কৃষকরা তার অসময়ে এই তরমুজ চাষের বিষয়টিকে পাগলামি বলতেন। এখন ভালো ফলন দেখে সবাই তরমুজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, বীজ লাগানোর পর ১৫ দিনেই ফল আসে। দুই মাসে ফল কাটা যায়। প্রতিটি তিন কেজি ওজনের বলা হলেও তার তরমুজগুলো চার কেজি ওজনের হতে পারে। এই তরমুজের মণ ১৪০০-১৬০০ টাকা দরে বিক্রির আশা করছেন তিনি। ২০ শতক জমিতে তার ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। আশা করছেন দ্বিগুণ বিক্রি করতে পারবেন।

স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাহিদা খাতুন বলেন, এই এলাকায় আগে তরমুজের চাষ হয়নি। বিশেষ করে অসময়ের বারোমাসি ব্ল্যাক বেবি তরমুজ। আনোয়ার হোসেনকে প্রাকৃতিক উপায়ে পোকা দমন প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। তার ফলন দেখে ভালো লাগছে। কম সময়ে তরমুজ চাষে কৃষকরা ভালো লাভ করতে পারবেন বলে আশা করছি। আনোয়ার হোসেনের আগ্রহ অন্য কৃষকদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে।

সর্বশেষ