১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

বিআরটিসি বরিশাল বাস ডিপো ম্যানেজার জামিলের দুর্নীতির তদন্তে সাক্ষ্য গ্রহণ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিআরটিসি বরিশাল বাস ডিপোর ম্যানেজার জামিল হোসেনের দুর্নীতির তদন্তে সাক্ষী গ্রহণ করেছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শহিদুল ইসলাম অভিযোগকারীসহ অভিযুক্তদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

অবৈধভাবে ওয়েবিল তৈরী করে দুর্নীতির মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অঢেল টাকা আয় করা বিআরটিসি বরিশাল বাস ডিপোর ম্যানেজার জামিল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত ফোরম্যান আমির হোসেন কারিগর ওরফে জীনের বাদশা ও ভারপ্রাপ্ত ক্যাশিয়ার মো. ইমরান তদন্তে নিজেদের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন।

এদিকে অভিযোগকারী বিআরটিসি গাড়ির প্রতিনিয়ত যাত্রী কাশিপুর বাঘিয়া এলাকার বাসিন্দা সিদ্দিক হাওলাদারসহ সাক্ষীরা অভিযুক্তদের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন। অভিযুক্তরা ওই পদে চাকরি করে দুর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকার বাড়ি-গাড়ি, নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। বিআরটিসি গাড়ি চালকের নামে চললেও অভিযুক্তরা চালকদের বদলিসহ চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়ে প্রতিনিয়ত দুইটি ওয়েবিল তৈরী করে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়।

চালকরা বদলি ও চাকরি হারানোর ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না। বিআরটিসি গাড়িতে যাতায়াত করতে গেলে যাত্রীরা বসার সিট পায় না। দাড়িয়ে দাড়িয়ে গাদাগাদি করে চলে। সেখানে ম্যানেজার জামিল তার ভগ্নিপতি জহিরুল ইসলামকে কন্ড্রাকটরের দায়িত্ব দিয়ে দুইটি ওয়েবিল তৈরী করে। একটিতে কমিশন ও জিপি বাবদ আলাদা আলাদা টাকা রেখে টিকিট কেটে ওয়েবিল তৈরী করে যাত্রীদের দেখানো হয়।

ওই ওয়েবিল গায়েব করে চালকের সাক্ষর নিয়ে ব্লাঙ্ক ওয়েবিলে মনগড়া তথ্য দিয়ে রাজস্ব খাতে জমা দেয়। এতে সরকার প্রতিনিয়ত অনেক টাকার রাজস্ব হারায়। অপরদিকে অভিযুক্তরা মোটা অঙ্ক আয় করে নেয়। গত বছর ৩ অক্টোবর এ ধরণের অভিযোগ এনে সিদ্দিক দুদকে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এর প্রেক্ষিতে দুদক অভিযোগের বিষয় তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে দায়িত্ব দিলে তিনি বাদী, সাক্ষী ও অভিযুক্তদের তলব করে সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

সর্বশেষ