২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিএমএ সভাপতির সাথে অসদাচরণঃ কোতয়ালী থানার এসআই রিয়াজের শাস্তি দাবী

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) বরিশাল শাখার সভাপতি ডাঃ মোঃ ইসতিয়াক হোসেনকে মামলায় ফাঁসানোর পায়তারার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিএমএ নেতৃবৃন্দ। বরিশাল শাখার সহ-সভাপতি ডাঃ সৈয়দ মাকসুমুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জাজামান শাহিন স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে মানিক কারিকর নামে একজন রোগীর অপারেশন পরবর্তী জটিলতাকে কেন্দ্র করে আইন বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার এসআই রিয়াজ এর অসদাচারন ও ক্ষমতার অপব্যবহার বরিশালের চিকিৎসক সমাজকে অত্যন্ত সংক্ষুব্ধ করেছে। গত ১৬ ডিসেম্বর বুধবার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ডাঃ এম.এস রহমান সুমন, এমবিবিএস, এফসিপিএস (সার্জারী), জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারী), শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃক মানিক কারিকর নামক রোগীর অপারেশন সম্পন্ন হয়। এই চিকিৎসক ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের নিয়োগকৃত কোন চিকিৎসক নন। কেবলমাত্র কনসালটেন্ট হিসেবে চেম্বার বা অপারেশন করেন। তথাপিও অপারেশন পরবর্তী জটিলতা সৃষ্টি হলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ ইসতিয়াক হোসেন এর কাছে বিষয়টি রোগী অবহিত করলে তিনি রোগীর প্রতি মানবিক দিক বিবেচনা করে পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
পরবর্তীতে রোগী কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক প্ররোচিত ও প্রভাবিত হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে প্রাথমিক তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে এস আই রিয়াজুল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কোনরূপ অবহিত না করেই গত ২২ ডিসেম্বও রাত ৯.০০টার দিকে হাসপাতালে যান। এ সময় মোবাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও বিএমএ বরিশাল শাখার সম্মানিত সভাপতি ডাঃ মোঃ ইসতিয়াক হোসেন এর সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ন ও অসৌজন্যমূলক আচরন করেন এবং মামলায় ২নং আসামী হিসেবে তাঁকে অন্তর্ভূক্ত করার হুমকি প্রদান করেন। উক্ত রোগীর চিকিৎসায় কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বে¡ও মামলা গ্রহন করে তাঁকে হয়রানিমূলক ভাবে ২নং আসামী করা হয়।

বিএমএ’র প্রতিবাদ লিপিতে আরো বলা হয়, বরিশালের সর্বজন শ্রদ্ধেয় সিনিয়র চিকিৎসক ও চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বিএমএ, বরিশাল শাখার সম্মানিত সভাপতির প্রতি এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় বরিশালের সর্বস্তরের চিকিৎসক সমাজ আজ সংক্ষুব্ধ। পরবর্তীতে রোগী পুনরায় সংশ্লিষ্ট সার্জারী বিশেষজ্ঞ কর্তৃক আশ্বস্ত হয়ে মামলা প্রত্যাহার করতে গেলে থানা থেকে গড়িমসি করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে রোগী ২৪ ডিসেম্বও এফিডেভিটের মাধ্যমে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন।

বিএমএ নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পৃথিবীব্যাপি করোনাকালীন দূর্যোগে বাংলাদেশের চিকিৎসকগন যেখানে নিবেদিতপ্রান ও সফলতার সাথে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছেন সেখানে এমন ঔদ্ধত্তপূর্ন আচরন ও ক্ষমতার অপব্যবহার বরিশাল বিভাগের চিকিৎসকদের কর্মস্পৃহা ও স্বাস্থ্য সেবা স্থবির করে দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা অনতিবিলম্বে এই মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহার করে এস আই রিয়াজুলকে তার কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার পূর্বক তার অসদাচারন ও ক্ষমতার অপব্যবহার বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।

বিএমএ নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এ অনাকাঙ্খিত ঘটনার আশু সুরাহা এবং ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। অন্যথায় বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন, বিএমএ বরিশাল শাখা এমন ঔদ্ধত্তপূর্ন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতিবাদে সাংগঠনিক কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে।

সর্বশেষ