২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বরিশালে ভ্যাপসা গরম, অবশেষে বৃষ্টি ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও গভর্নর নিহ*ত নিশানবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা লন্ডনে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ: ফিলি*স্তিনে গ*ণহ*ত্যা বন্ধের দাবী দেশের বীমা খাতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২৯ মে সারাদিন লালমোহন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ মার্কায় ভোট দিন আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম সৌদিতে ২৮৭৬০ বাংলাদেশি হজযাত্রী পৌঁছেছেন, দুইজনের মৃত্যু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন : দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

বিদেশে পাঠানোর নামে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিল পাথরঘাটার জলিল

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরগুনা প্রতিনিধি ::: বিদেশে পাঠিয়ে উন্নত জীবন এবং সংসার করার প্রলোভন দেখিয়ে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে বরগুনার পাথরঘাটা কালমেঘা ইউনিয়নের জলিল চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগ দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জলিলের প্রতারণার শিকার হয়ে সৌদি আরবের কারাগার থেকে সদ্য মুক্তি পেয়ে ফিরে আসা মিজানুর রহমানসহ প্রায় ছয়টি আসহায় পরিবার। অসহায় এসব মানুষ জলিল চৌধুরীর কাছে অর্থ ফেরত চাইতে গেলে হুমকি দিয়ে আসছেন বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।

পাথরঘাটা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলম, মিজানুর রহমান, শাহিনুর বেগম, আব্দুল কাদের ও আবুল হোসেন মাস্টার। তারা জানান, অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে প্রতারক জলিল চৌধুরীর মিষ্টি কথায় ভুলে তার হাতে তুলে দিয়েছিলেন ধার করে আনা এবং ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নেয়া টাকা।

এসময় কান্না জড়িত কন্ঠে তারা জানান- মিজানুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, মামুন মিয়া, মো. সুমন, ইমরান ও ফোরকানকে বিদেশে পাঠানো হয় পাথরঘাটা পৌরসভার বাসিন্দা আ. জলিল চৌধুরীর মাধ্যমে। কিন্তু অঙ্গীকার অনুযায়ী ঠিকমতো কাজ না দেয়ায় সৌদিতে কষ্টে দিন যাপন করছে। ঠিকমতো খেতেও পারছে না। ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ এবং জমি বিক্রি করে টাকা দিয়ে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দেশে টাকা পাঠানো দূরে থাক, ওখানে নিজেরাই খেতে পারছে না। সন্তানদের ফেরত পেতে চান তারা।

সৌদি আরবের কারাগার থেকে সদ্য দেশে আসা মিজানুর রহমান বলেন, অঙ্গীকার অনুযায়ী বিদেশে যাওয়ার পর ভিসার মেয়াদ শেষ হলে ইকামা না দেয়ার কারণে ওই দেশের পুলিশ গ্রেফতার করে। তারপর দীর্ঘদিন দীর্ঘ কারাবাসের পর বের হওয়ার সাথে সাথেই দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে জলিলকে জানালে তিনি উল্টা তাকে হুমকি দিয়ে আসছেন। ফোরকানের বাবা আ. কাদের বলেন, আমি ও ছেলে রিকশা চালাতাম। অনেক কষ্ট করে জমি বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশে পাঠাই। আজ বাবা বড় কষ্টে আছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আ. জলিল চৌধুরী বিদেশ নোয়ার কথা স্বীকার করলেও তাদের মনোবেতর জীবনযাপনের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি সরকারের নিয়ম মেনেই তাদের বিদেশে পাঠিয়েছি। শর্ত অনুযায়ী তাদের ভিসা এবং কাজ দিয়েছি। কাজ না করে যদি দেশে চলে আসে, এর দায়ভার তো আর আমি নেব না। ইকামা না দেয়ায় তাদেরকে পুলিশ জেলে পাঠাচ্ছে- এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোনো জবাব না দিয়ে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

সর্বশেষ