৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানি: শিক্ষক কারাগারে

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) এক শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শান্ত মারিয়ামের সহকারী অধ্যাপক রশি কামালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।সোমবার (২২ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারদিনের রিমান্ড আবেদন করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে আজ তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সিএমএম আদালতে পল্লবী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অনলাইনে উত্ত্যক্ত ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঢাকার পল্লবী থানায় মামলা করেন ওই নারী। এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে একটি গবেষণা ‘ইন্দোনেশিয়ান জার্নাল অব সোশ্যাল রিসার্চ’ নামক জার্নালে প্রকাশ হয়। গত ১৭ মার্চ প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি চেয়ে আসামি রশি কামাল ওই নারীর মেইল থেকে অনুরোধ করেন। এসময় তিনি শান্ত মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছেন বলে জানান।

আসামির অনুরোধে তিনি গবেষণাপত্রটি তার মেইলে পাঠান। গবেষণাপত্রটি আসামি পড়ে খুব প্রশংসা করে একটি কনফারেন্সে প্রকাশের জন্য যৌথভাবে গবেষণার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এজন্য বাদীর কাছে আসামি সিভি চাইলে তিনি সিভি দেন। আসামির কাছে তার রিসার্চ গেটের লিংক চাইলে তিনি বাদীর ইমেইলে পাঠান। তবে বাদীর গবেষণার বিষয় থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয় হওয়ায় তিনি আসামির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি। এরপরও আসামি বাদীর সঙ্গে স্কাইপিতে ভিডিও কলে কথা বলার জন্য বারবার অনুরোধ করেন, কিন্তু তিনি রাজি হননি।
সেই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ মার্চ রাত ১টা ৪ মিনিটে আসামি ওই শিক্ষিকাকে ফোন দেন এবং যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলে ফোন রেখে দেন। এরপর একাধিকবার হোয়াটসঅ্যাপে কল দিয়ে নিজেকে রশি কামাল পরিচয় দিয়ে আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করেন।

এরপর গত ২৯ মার্চ রাত অনুমান ১টা ৪ মিনিট থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আসামির হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে বাদীর হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে অশ্লীল যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলে ধর্ষণ করার হুমকি দেন। এ সময় হোয়াটসঅ্যাপে পর্ন ছবি পাঠান তিনি।

বাদী আসামিকে এমন আচরণের কারণ জানতে চাইলে তিনি গালিগালাজ করেন এবং নোংরা ছবি নেট দুনিয়ায় ছেড়ে দিয়ে মর্যাদাহানি করার হুমকি দেন।

সর্বশেষ