নিজস্ব প্রতিবেদক ::: আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে মেয়র-কাউন্সিলর পদে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন। আর এ কার্যক্রম অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে নির্বাচনের আগের দিন থেকে পরের দিন পর্যন্ত ত্রিশ জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবেন। এছাড়া বিজিবির ১০টি দলের সঙ্গে ১০ জন নির্বাহী হাকিম দায়িত্বপালন করবেন। যদি কোথাও নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয় তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেবেন বিচাকররা। ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে বিজিবি সদস্যরা কাজ করবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এখানে আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা অনেক ভালো রয়েছে এবং এ অবস্থাটি শেষ সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। আশা করি, উৎসমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচনটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
এদিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ৪ হাজার ৪০০ শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৩০০ পুলিশ রয়েছে। এছাড়া ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ কমিশনার আরও জানান, আগামী সোমবার (১২ জুন) বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে প্রায় ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন ভোটার ১২৬টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এছাড়া প্রতিটি স্ট্রাইকিং ও মোবাইল ফোর্সের সঙ্গে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও থাকবে। অপরদিকে পরিপত্রে আমাদের প্রায় সাত প্লাটুন বিজিবি থাকার কথা বলা হয়েছে, যারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। তারা হয়তো দু-একদিনের মধ্যেই চলে আসবে এবং কীভাবে কাজ করবে তার প্ল্যানিং করবে। এর বাইরে র্যাবের আলাদা একটি ফোর্স আমরা পাব।
মানুষের ভীত হওয়ার কোনো কারণ নেই জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, এক কথায় ভোটাররা যাতে নিশ্চিন্তে-নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে, সে ব্যবস্থা আমরা টোটালি রাখছি। এখানে কোনো অস্বচ্ছতা থাকবে না এবং কেউ আলাদা কোনো সুযোগ-সুবিধাও পাবে না।
উল্লেখ্য, আজ মধ্য রাতে শেষ হচ্ছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। এবার ৩০টি ওয়ার্ডে মোট ১৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১৮ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪২ জন। ৩০টি ওয়ার্ডে ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪ কক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন।