১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বেতাগীতে নৌকা প্রার্থীর কর্মীকে কোপাল ও ঘরে আগুন দিল স্বতন্ত্র প্রার্থী!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরগুনার বেতাগীর সরিষামুড়ি ইউনিয়নে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রফিক বিশ্বাস নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ শরীফের লোকজন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে স্থানীয় ভোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রফিক বিশ্বাস সরিষামুড়ি ইউনিয়নের ভোড়া গ্রামের বাসিন্দা। নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমাম হোসেন দাবি করেছেন শিপন তার কর্মী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভোড়া এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য প্রার্থী ফোরকান সিকদারের বাড়িতে কর্মিসভা থেকে ফিরছিলেন রফিক বিশ্বাস। সে সময় ইউসুফ শরীফের ছেলে আজিম, জয়নাল মেম্বরের ছেলে সোহেল, টিটু মেম্বারসহ বেশ কয়েকজন ইউসুফের বাড়ির সামনে অবস্থান করছিল। রফিক সেই পথে যাওয়ার সময় তাকে ডেকে পাশের একটি ঘেরে নিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় ইউসুফ শরীফের নিরাপত্তায় মোতায়েন বেতাগী থানা ও চান্দখালী পুলিশ ফাঁড়ির পাঁচজন পুলিশ ওই বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। চিৎকার শুনে তারা রফিককে উদ্ধার করে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রবীন্দ্রনাথ সরকার জানান, আহত রফিকের ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আক্রান্ত রফিকের চাচা জয়নাল বিশ্বাস বলেন, ‘রফিক রাজধানী ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করে। নবজাতক সন্তানকে দেখতে সপ্তাহখানেক আগে বাড়িতে আসে। তখন ইউসুফের ছেলেরা নির্বাচনে তাদের পক্ষ হয়ে কাজ করতে বলে রফিককে। তাতে রাজি না হওয়ায় ইউসুফ ও তার ছেলেরা ক্ষুব্ধ হয়ে সকালে রফিকদের তিনটি ঘরে আগুন দেয়। আর রাতে রফিককে কুপিয়ে জখম করে।

ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী ইমাম হোসেন শিপন বলেন, ‘ইউসুফ শরীফ ও তার ছেলেরা চার মাস আগে আমাকে কুপিয়ে জখম করেছিল। পঙ্গুপ্রায় অবস্থায় আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। জামিন নিয়ে ইউসুফ বাহিনী এলাকায় ফিরেই একের পর এক তাণ্ডব চালাচ্ছে।

অভিযোগ করেন, ‘পুলিশের সামনেই আমার ওপর হামলা হয়েছিল। আর আজকে পুলিশি পাহারায় আমার সমর্থককে কোপানো হয়েছে। ইউসুফ ও তার ছেলেদের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তার না করলে তারা একের পর এক সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে।’

এ প্রসঙ্গে জানতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউসুফ শরীফের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

অনুরুপ প্রসঙ্গে বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, পুলিশ আহত অবস্থায় রফিককে উদ্ধার করে বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।

পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা অভিযোগ বিষয়ে ওসি তপু বলেন, ‘পুলিশ ওই এলাকায় টহলরত থাকলেও ঘটনাস্থল থেকে অনেকটা দুরে ছিল।’

সরিষামুড়ি ইউনিয়নের কালিকাবাড়িতেই ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর বিকেলে হামলার শিকার হন বর্তমান চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন।

এ ঘটনায় ইউসুফ, তার দুই ছেলেসহ ১৪ জনকে আসামি করে বেতাগী থানায় মামলা হয়। ওই দিনের পর থেকে লাপাত্তা ছিল ইউসুফ ও তার পরিবার।

গত সপ্তাহে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তারা। গত শুক্রবার এলাকার আসেন ইউসুফ। এবং ওই দিনও ইউসুফ ও শিপন সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জন আহত হয়।’

সর্বশেষ