অনলাইন ডেস্ক :: হঠাৎ পানি বেড়েছে বরগুনার বিষখালী ও পায়রা নদীর। এ কারণে বরগুনার বড়ইতলা-বাইনচুটকি ও পুরাকাটা-আমতলী ফেরিঘাট ডুবে গেছে। এতে দুইপাশের ফেরি পারাপার হওয়া যানবাহন নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন চালকরা। আবার সাধারণ মানুষও বিপদে পড়েছেন।
শনিবার (২১ আগস্ট) বেলা ১১টায় পুরাকাটা-আমতলী ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায় পানি বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে গেছে দুইপাড়ের ফেরিঘাট। এতে আটকে পড়েছে অসংখ্য পণ্যবাহী ট্রাক। এ ছাড়াও সাধারণ মানুষও আটকে পড়েছেন দুপাড়ে। অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে পানিতে ভিজে যাত্রীবাহী ট্রলার অথবা ফেরিতে উঠলেও নারী-শিশুসহ অনেকেই অপেক্ষা করছেন পানি কখন কমবে সেই সময়ের জন্য।
আটকে পড়া এক যাত্রী মেহেরুন্নাহার মুমতাজ জানান, পটুয়াখালী তার সন্তানের চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন তিনি। সকাল ১০টায় পুরাকাটা ফেরিঘাটে এসে দেখেন পন্টুন পানির নিচে। পার হবার কোনো সুযোগ নেই। তাই বাধ্য হয়ে ১ঘণ্টা অপেক্ষা করেও যখন পানি কমেনি, ভিজেই ট্রলারে উঠেছেন তিনি।
মাছ বোঝাই ট্রাক নিয়ে ঘাটে আটকে পড়া সেলিম নামে এক চালকবলেন, পানিতে তলিয়ে গেছে ফেরিতে ওঠার রাস্তা। পানি না টানা পর্যন্ত ফেরিতে ওঠতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গত এক সপ্তাহব্যাপী প্রায় প্রতিদিনই জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় বড়ইতলা-বাইনচুটকি ফেরিঘাট ও রাস্তা।
মোহাম্মাদ আরিফ নামে এক যাত্রী বলেন, সকাল থেকে অপেক্ষা করছেন নদী পার হবার। জোয়ার শেষে পানি কমতে শুরু করবে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এমন ভোগান্তি হয়।
আটকে থাকা একাধিক বাসচালক বলেন, এমন ভোগান্তি প্রতি বর্ষা মৌসুমে হয়ে থাকে। যাত্রীদের নানান কথা শুনতে হয়। পানির মধ্য দিয়ে বাস ফেরিতে ওঠাতে গেলে ইঞ্জিন বসে যায় বেশিরভাগ সময়। ইঞ্জিন বসে গেলেও মালিকের কথা শুনতে হয়। রাস্তাটিতে ইট ফেলে দিলেও অন্তত চলাচলের উপযোগী হতো।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী মো. কাইসার আলম বলেন, বিষখালী নদীতে বিপৎসীমার ২.৩৯ মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পায়রা নদীতে বিপৎসীমার ২.৭৪ মিটার ওপরে।
বরগুনা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাঞ্জুরুল করিম জানান, হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় তলিয়েছে পন্টুন। গত বছরও পন্টুনের সড়কে উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। জনগনের ভোগান্তি দূর করতে এবারও সড়ক উন্নয়নের কাজ করা হবে।