৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বোরকা পরে মেয়েদের মাদরাসায় গিয়ে গণপিটুনির শিকার যুবক!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরিশাল বাণী ডেক্স— 

 করটিয়া ইউনিয়নের এক বালিকা মাদরাসায় বোরকা পরে যাওয়ায় সিয়াম নামে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়েছেন জনগণ। পরে স্থানীয়দের গণপিটুনির কবল থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে করটিয়ার রওজাতুল মহিলা মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই যুবক টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।আটক মো. সিয়াম হোসেন সিপু (১৯) টাঙ্গাইল পৌরসভার ধুলেরচর এলাকার মো. ফরহাদ আলীর ছেলে। তিনি শহরের বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র।করটিয়া রওজাতুল বালিকা মাদরাসার পরিচালক মো. সিয়াম জানান, সোমবার সকালে মাহফিলের টাকা আদায়ের রশিদ নিয়ে বোরকা পরিহিত একজন মাদরাসায় প্রবেশ করেন। পরে তার কণ্ঠ শুনে ও আচরণে সন্দেহ হলে তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। পরে বোরকার ওপরের অংশ খুললে দেখা যায় তিনি একজন যুবক। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা মাদরাসা থেকে বের করে তাকে পিটুনি দিতে থাকেন। এসময় উত্তেজিত জনতার হাত থেকে তাকে রক্ষা করতে দ্রুত করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও জনতা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু বলেন, পরিষদের কাজে আমি উপজেলা পরিষদে থাকায় শাহীন মেম্বার ও লতিফ মেম্বারের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদে ভিড় জমে গেলে দ্রুত পুলিশে খবর দিই। পরে পুলিশ এসে ওই যুবককে আটক করে নিয়ে যায়।আটক সিয়ামের বাবা মো. ফরহাদ আলী বলেন, আমার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। মাঝে মধ্যেই নানান কাণ্ড ঘটায়। তাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সোমবার সকালে সিয়াম নানির বাসায় যাবে বলে বাসা থেকে বের হয়। তারপর পুলিশের কাছে খবর পাই, তাকে করটিয়া থেকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।তিনি আরও বলেন, সিয়ামের মানসিক সমস্যার কারণে এ বছর সে বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি। তাকে নিয়ে প্রায়ই আমরা নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লোকমান হোসেন জানান, খবর পেয়ে করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিয়াম নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তবে তার স্বজনরা জানিয়েছেন যে ছেলেটি মানসিক রোগী। তারপরও আমরা তদন্ত চালাচ্ছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

সর্বশেষ