২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বোলারদের ওপর ভর করেই এতদূর বাংলাদেশ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ গিয়েছিল একদমই কম প্রত্যাশা নিয়ে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হার তাদের আশা কমিয়ে দিয়েছিল আরও।
কিন্তু এখন নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়ে দিয়েছে তারা। জায়গা করে নিয়েছে সুপার এইটে।
এর পেছনে ভূমিকাটা কার? অধিনায়ক, টিম ম্যানেজম্যান্ট বা সমর্থক- সবার উত্তরই হবে এক, বাংলাদেশের বোলাররা। অসাধারণ সব পারফরম্যান্সে একেক দিন ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন একেকজন বোলার। তাদের মধ্যে সামনে ছিলেন তানজিম হাসান সাকিব, মোস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হোসেন ও তাসকিন আহমেদ।
বিশ্বকাপের দল ঘোষণার দিন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন শুনতে হয়েছিল তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের চেয়ে তাকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন নির্বাচকরা। নিজের পারফরম্যান্স দিয়েই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তানজিম। চার ম্যাচে সবমিলিয়ে ওভারপ্রতি ৪.৮০ গড়ে রান দিয়ে ৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি। গ্রুপ পর্বশেষে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় তিন নম্বরে আছেন তানজিম। নেপালের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ১০৬ রান করেও জিতেছিল বাংলাদেশ। এ ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন তানজিম। মোস্তাফিজুর রহমানও এই বিশ্বকাপে ছিলেন অবিশ্বাস্য। অনেকটা আড়ালে থেকেই নিজের কাজটা করে গেছেন তিনি। বিশেষত ডেথ ওভারে তাকে খেলাটা হয়ে গিয়েছে বেশ কঠিন। ৪ ম্যাচে ওভারপ্রতি মাত্র ৩.৩৭ গড়ে রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। তানজিম ও মোস্তাফিজের সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন তাসকিন আহমেদও। দরকারের সময়ে উইকেট এনে দিয়েছেন তিনি। যদিও বাকি দুজনের চেয়ে কিছুটা খরুচে ছিলেন তাসকিন। ৪ ম্যাচে ওভারপ্রতি ৬.৪৩ গড়ে রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

তিন পেসারের সঙ্গে বাংলাদেশের সুপার এইটে উঠার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার ইতি ঘটিয়েছেন তিনি। ৪ ম্যাচে ৬.৮০ গড়ে রান দিয়ে ৭ উইকেট পেয়েছেন রিশাদ।

সর্বশেষ