২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ব্যক্তিগত জীবন আড়ালেই থাকুক !

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
মোঃ আনিছুর রহমান

ব্যক্তিগত জীবনের একটা প্রাইভেসী থাকা উচিত। জীবনের সবকিছু মানুষের মাঝে শেয়ার না করাটাও একটা আধুনিক ইন্টেলেজন্সী।আপনার ব্যক্তিগত জীবন যত কম শেয়ার করবেন, তত কম মানুষ সেখানে নাক গলানোর সুযোগ পাবে। আর আপনার যে বিষয়টি অন্যদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না, অন্যরা সেখানে আগবাড়িয়ে পরামর্শ বা মন্তব্য না করলেই আপনার জন্য সুবিধাজনক।আপনার কাছের কোনো বন্ধু বা আত্মীয়ের কাছে কোনো একটা মুহূর্তে মনের কথা, রাগ, দুঃখ, অতীত বা অভিযোগ ঢেলে ফেললেন। এরপর আপনি এই কর্মকাণ্ড নিয়ে আফসোস করেছেন—এমন অনুভব আমাদের অনেকেরই আছে। আমরা খুব রাগের মাথায় বা আবেগীয় মুহূর্তে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি না।এটা অনেক বড় মানসিক ব্যাধি।খানিক সময় বাদে আপনি ওই মুহূর্ত থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় যখন আসবেন।ঠিকই বুঝতে পারবেন ভুল করেছেন, কিন্তু যে আপনার ওই সময়ের সাক্ষী, সে বিষয়টি ঠিকই বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়াবে। আপনাকেও মনে করিয়ে দেবে। অন্যদের কাছে সেটা হবে মুখরোচক গল্প। সেটা কি আপনার ভালো লাগবে? তাই আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুণ! নিজের জীবনে যত নিজের বোঝাপড়া দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন, ততই ভালো।আপনার ব্যক্তিগত জীবনের কথা, বিশেষ করে ভুল বা কোনো নেতিবাচক ব্যাপার, অন্য লোকে যত কম জানবে, ততই সেটা আপনার জন্য ভালো। একইভাবে, আপনার ব্যক্তি জীবনে অনেকেই এসে ফাও উপদেশ, পরামর্শ দেবে। নিজের জীবনে যত নিজের বোঝাপড়া দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন, ততই ভালো। আপনার জীবনটা আপনিই সবচেয়ে ভালো বোঝেন।নিরাপত্তার খাতিরেও ব্যক্তিগত জীবন ব্যক্তিগত রাখাই সমীচীন। আপনি কোথায় আছেন, কোথায় থাকেন, আপনার ঘরে কী আছে, আপনার হাতঘড়িটি কোন মডেলের, কত দাম, এগুলো যত কম অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন, আপনি ততটাই নিরাপদে থাকবেন। আপনার সম্পদও নিরাপদে থাকবে। আপনি কত ধনী আর কত সুখে আছেন, সেটা লোককে দেখানোর চেয়ে আপনার নিরাপত্তা আর সুখ সব সময়ই বড়।ব্যক্তিগত জীবন আড়ালে রাখাই শ্রেয়। অন্যের মন্তব্য, লোকে কী বলল, এটাকে বেশি গুরুত্ব দেবেন, এর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন, তখন আপনার মানসিক শান্তি অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে।আপনি যত বেশি মানুষের সঙ্গে নিজের জীবন ভাগ করে নেবেন, আপনি ততই কাছের মানুষদের সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা হারাবেন। বরং কাছের, বিশ্বস্ত ও আপন মানুষদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করুন।তার মানে এই না যে আপনি কাউকে কিচ্ছু বলবেন না। অবশ্যই আপনার কাছের ও বিশ্বস্ত মানুষদের সঙ্গে জীবনের খুঁটিনাটি ভাগ করবেন। বিপদে সাহায্য চাইবেন। প্রয়োজনে পরামর্শ চাইবেন। আপনার আনন্দ, দুঃখও ভাগ করে নেবেন। তবে শুধু শুধু ব্যক্তিগত জীবনের এমন কিছু শেয়ার করবেন না, যাতে নিজের নিরাপত্তা আর শান্তি বিঘ্নিত হয়।

লেখকঃ
মোঃ আনিছুর রহমান
উপ-সহকারী প্রকৌশলী
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর

সর্বশেষ