১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ভান্ডারিয়ায় সাংবাদিককে পেটানোর হুমকি দেয়া সেই চেয়ারম্যানকে ছাড়বে না ইসি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

অনলাইন ডেস্ক ::: পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া পৌর নির্বাচন রিটার্নিং অফিসারের সামনেই সাংবাদিককে টাঙিয়ে পেটানোর হুমকি দেওয়া উপজেলা চেয়ারম্যানকে ছাড়বে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. আহসান হাবিব খান।

সোমাবর (১৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আহসান হাবিব।

একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী রিটার্নিং অফিসারের উপস্থিতি সাংবাদিকদের টাঙিয়ে পেটানোর হুমকি দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই অভিযোগটা গতকাল রাতেই এসেছে। অভিযোগটা আসার পরে আমি সবাইকে অবহিত করেছি। আগে ভোটটা শেষ হোক। কারণ ওইটা যদি লকডাউন হয়ে যায়, তাহলে আমি ভোটের দিকে মনযোগ দিতে পারবো না। ওইটা আমি ছাড়বো না।’

তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টা আমরা কমিশনে উঠাবো এবং কমিশনে আলোচনা করবো। সেই চেয়ারম্যান ঔদ্ধত্যমূলক আচরণ করেছে। আমাকে আঘাতপ্রাপ্ত করেছে। আমাদের কমিশনের সবাই মিলে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেটা নেব, তবে ভোটের পরে।’

এর আগে, গতকাল রোববার রাত ৯টায় পিরোজপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ভান্ডারিয়া পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জিয়াউল রহমান খলিফার অফিসে ইত্তেফাকের ভান্ডারিয়া সংবাদদাতা শংকরকে নির্বাচন কর্মকর্তার চত্বরে দেখলে টাঙিয়ে পেটানোর হুমকি দেন স্থানীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলাম মিরাজ।

স্থানীয় জানা গেছে, রোববার রাত ৯টায় ভান্ডারিয়া উপজেলা রিটার্নিং অফিসার জিয়াউর রহমান খলিফার সঙ্গে রাজধানী ঢাকা থেকে আসা নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত ১০-১২ জন সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন। এসময় সেখানে আকস্মিক ঢুকেন ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলাম। তিনি সেখানে আগে থেকে থাকা ভান্ডারিয়া উপজেলার ইত্তেফাক পত্রিকার প্রতিনিধি শঙ্করকে দেখে এই হুমকি দেন।

মিরাজুল ইসলাম মিরাজ শংকর বলেন, তোকে সারাদিন কয়েকবার এই কার্যালয়ের এখানে ঘুরতে দেখছি, তোর এখানে কাজ কী? আবার যদি তোকে এখানে দেখি তাহলে তোকে উপজেলা চত্বরে টাঙ্গিয়ে পেটাবো। এ কথা বলার পর শংকরকে ওই অফিস থেকে চেয়ারম্যানের সঙ্গে আসা দুজন জোর করে বের করে দেন। রিটার্নিং অফিসার হতাশ ও বিব্রত হয়ে পড়েন। উপস্থিত সাংবাদিকরা হতভম্ব হয়ে যান। ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। উপজেলা চত্বরেই অবস্থিত উপজেলা নির্বাচন অফিস।

এ ব্যাপারে পিরোজপুর জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার জিয়াউর রহমান খলিফা উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এই ধরনের আচরণ করবেন আমি বুঝতে পারিনি। এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। আমি এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করবো।

বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, তিনি এ ধরনের আচরণ করতে পারেন না। এটি সুস্পষ্ট আচরণ বিধি লঙ্ঘন।’

সর্বশেষ