১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ভালো নেই ঝালকাঠির ভাসমান বাজারের বিক্রেতারা, ক্রেতা সংকট

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠির ভাসমান বাজারের বিক্রেতারা ভালো নেই। করোনা পরিস্থিতিতে ক্রেতা সংকটে পড়েছেন তারা। দেখা পাচ্ছেন না পাইকারদেরও। এতে নিজেদের উৎপাদিত সবজি আর ফলমূল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অসংখ্য কৃষক।

ভাসমান হাটের জন্য ঝালকাঠির খ্যাতি রয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই ভাসমান বাজার দেখতে অনেকেই ছুটে যান। এমনকি অনেক বিদেশিও কৌতুহলী হয়ে ভাসমান বাজার দেখতে আসেন।

ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের মানুষ বহুকাল আগ থেকেই স্থানীয় খালগুলোতে ভাসমান বাজার বসিয়ে আসছে। এ ইউনিয়নের প্রধান বাজার বসে ভীমরুলী গ্রামের ভীমরুলী খালে। পেয়ারা আর আমড়া ছাড়াও ভাসমান বাজারে বছর জুড়ে নানা ফলমূল আর শাক-সবজি বিক্রি করে ১৫ গ্রামের অন্তত ৫ হাজার পরিবারের সংসার চলে।

রাজধানীসহ দূর-দূরান্তের পাইকাররা এসে এখান থেকে এসব পণ্য কিনে নিয়ে যান।

পেয়ারা ও আমড়ার ফলনের জন্য ভাসমান বাজার সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলো বিখ্যাত হলেও লেবু, পেঁপে, পানিকচু, নারকেল-সুপারী, কলা, কাঁঠালসহ নানা ফলমূল ও শাক-সবজির উৎপাদনও ভাল। এসব পণ্য বেচেই বেঁচে আছে এখানের অধিকাংশ পরিবার। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে ভাসমান বাজারে নেই কৃষিপণ্য কেনার পাইকারদের আনাগোনা। দু’চারজন যা পাওয়া যাচ্ছে তাদের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছেনা ন্যায্যমূল্য। আর এ অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছেন ঝালকাঠির ভাসমান বাজার কেন্দ্রিক অসংখ্য কৃষক।

ভীমরুলী গ্রামের চাষি সুদেব কর্মকার বলেন, ‘আমাদের এখানে বছরের প্রায় ১২ মাসই ভাসমান বাজার বসে। এখানকার উৎপাদিত কৃষিপণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়। অন্যান্য বছর আমরা ভালো থাকলেও এবছর করোনার কারণে আমরা খুব সমস্যায় রয়েছি। কোন পাইকার এখানে আসছে না। ‘

স্থানীয় পাইকার ভবতোষ মন্ডল বলেন, ‘এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা খুবই সমস্যায় আছি। এখানের উৎপাদিত পণ্য আমরা অন্যস্থানে নিয়ে বিক্রি করতে পারছি না। ‘

কীর্তিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ভবেন হালদার বলেন, ‘করোনার কারণে ভীমরুলীর ভাসমান বাজারে ক্রেতা না থাকায় এখানকার চাষিদের এবার মাথায় হাত। ‘

সর্বশেষ