১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভাশুরের লালসায় ৫ মাসের অন্তঃসত্বা লাকী বেগম

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

জাহিদ হাসান : আলোচিত ইকবাল মোল্লা হত্যা ঘটনার ৮ মাস পার হতে না হতেই দ্বিতীয় স্ত্রী লাকী বেগমের প্রায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে চাপের মুখে স্বীকার করে, স্বামী ইকবালের বড় ভাই মঞ্জুর মোল্লার সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ায় এ অবস্থা তার। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন চেষ্টা চালায় মঞ্জুর। তবে, বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় মাদারীপুর সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন তিন সন্তানের জননী লাকী বেগম। বুধবার গভীর রাতে সদর উপজেলার শ্রীনদী থেকে মঞ্জুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজৈর উপজেলার উমারখালী গ্রামের সুন্দর আলী মোল্লার দুই ছেলে মঞ্জুর মোল্লা (৪৫) ও ইকবাল মোল্লা (৪০)। বড় ছেলে মঞ্জুর তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস করে এবং মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো। ছোট ছেলে ইকবাল তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে নিজ বাড়িতে থেকে সুদের টাকা আদান-প্রদান করতো। কিন্তু ইকবাল খুন হওয়ার পর থেকে স্ত্রী-সন্তান রেখে পিতাসহ ছোট ভাইয়ের পরিবারের সাথে থাকা শুরু করে মঞ্জুর। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় জনসম্মুখে প্রকাশ পায় তাদের সম্পর্কের ঘটনা। পরে ভাশুর মঞ্জুরের কাছে সন্তানদের পিতৃ পরিচয় দাবি করে নিহত ইকবালের দ্বিতীয় স্ত্রী। অস্বীকার করায় সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের শ্রীনদী গ্রামে বাবার বাড়ি ফিরে যায় এবং ধর্ষণ মামলা করে। এতে জনমনে সংশয় ভাশুর ও ভাবির এই পরকীয়ার জেরেই কি ইকবাল খুন হয়েছে? নাকি আরো গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে?
এ ব্যাপারে নিহত ইকবালের প্রথম স্ত্রী মুর্শিদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী জীবিত থাকতেই তাদের অবৈধ সম্পর্ক ছিলো। তারাও আমার স্বামী হত্যার সাথে জড়িত থাকতে পারে। এ বিষয়ে আমি মামলা করবো।
মামলার বাদি লাকী বেগম বলেন, আমার সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য একটা সুস্থ বিচার চাই।
আসামি মঞ্জুর মোল্লা বলেন, ভাইয়ের মৃত্যুর ৩ মাস পর থেকে আমাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে গর্ভে তার বাচ্চা থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুন ২০২০ইং তারিখ সন্ধ্যায় ইকবাল বাড়ি থেকে নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়। রাতে আর বাড়িতে ফেরা হয়না তার। পরেরদিন গত ২৩ জুন ২০২০ইং তারিখ সকালে উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের শাখারপাড় মল্লিক কান্দির জমি থেকে ইকবালের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে রাজৈর থানা পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত ইকবালের বড় ভাই (বর্তমানে ছোট স্ত্রীর দেয়া ধর্ষণ মামলায় আটককৃত আসামী) মঞ্জুর বাদি হয়ে রাজৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর একই উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের শাখারপাড়ের দুইজনকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।

সর্বশেষ