১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোলায় আইনজীবির চেম্বারে ঢুকে জনসম্মুখে আসামিকে মারধর করল মামলার বাদী

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
ভোলা প্রতিনিধি।

ভোলা শহরের উকিলপাড়ায় ভোলা জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি ছালাউদ্দিন হাওলাদারের অফিস কক্ষে ঢুকে জনসম্মুখে সদ্য জামিনে কারামুক্ত হওয়া মামলার আসামি মিজান কে মারধর করল মামলার বাদী রিফা বেগম ও একদল সন্ত্রাসী। ১২ আগষ্ট শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন হাওলাদারের চেম্বারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত মিজান বলেন আমি দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বাসিন্দা। বেশ কিছুদিন আগে রিফা বেগম নামে এক নারী আমার নামে হাঁস চুরির একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং পুলিশকে দিয়ে আমাকে গ্রেফতার করায় ।আমি বেশ কিছু দিন জেল খেটে শনিবার জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছি। আইনি সহায়তা বিষয়ক কথা বলতে আমি আমার আইনজীবী এ্যাডভোকেট ছালাউদ্দিন হাওলাদারের চেম্বারে যাই। সন্ধ্যা সাতটার দিকে আমি  ছালাহউদ্দিন হাওলাদারের চেম্বারে নিচে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেই মুহূর্তে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা মামলার বাদী রিফা বেগমের নেতৃত্বে খলিলুর রহমান গাজী, নোমান ,মোঃ রাসেল ,মোঃ ইমন, সূচনা আক্তার ,ইনসানা আক্তার সহ মোট  ৭-৮ জন লোক হঠাৎ করে এসে আমাকে মারধর শুরু করে । মারধরের এক পর্যায়ে আমাকে আহত করে ও আমার গায়ের শাট খুলে আমাকে পেটাতে থাকে । আমি তাদের হামলা থেকে বাঁচার জন্য দৌড়ে গিয়ে আমার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন হাওলাদার অফিস কক্ষে আশ্রয় নেই। কিছুক্ষণ পরে ভোলা থানার  এসআই লুৎফর ও এক কনস্টেবল সহ হামলাকারীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে অফিস কক্ষে ঢুকে সাত-আটজন আইনজীবীর সামনে রিফা বেগমসহ হামলাকারীরা আমাকে আবারো মারধোর করে । এক পর্যায়ে আমার আইনজীবী এ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন হাওলাদার ও অফিস রুমে উপস্থিত থাকা  লোকজন আমাকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করে। অফিস রুমে এসে  ভোলা থানার  এসআই লুৎফর আমাকে গালিগালাজ শুরু করে ও আমাকে ধরে নিয়ে যেতে চায়। আমি তাকে বলি আমার নামে যে মামলাটি রয়েছে সে মামলায় আজকে আমি জামিনে বের হয়েছি । আমার নামে আর কোনো মামলা নেই তাহলে আপনি আমাকে গ্রেপ্তার করতে চান কেন? আমি এ হামলার ও ওেযারেন্ট ছাড়া গ্রেফতারের চেস্টার বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সালাউদ্দিন হাওলাদার বলেন আমার একজন মক্কেল সন্ধ্যায় আমার অফিসে দৌড়ে আসে এবং বলে তাকে তার মামলার বাদী সহ ৭-৮ জন লোক মেরেছে। তখন আমি তাকে আমার অফিস কক্ষে বসতে বলি। তার কিছুক্ষণ পরেই ৪৫৯/২০ মামলার বাদী রিফা বেগম ৭-৮ জন  লোক সহ আমার চেম্বারে ঢুকে মিজানকে আবারো মারধর শুরু করে তখন আমি তাদেরকে মারধোর করতে নিষেধ করি। তখন হামলাকারীদের সাথে আসা দুই ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ হিসেবে পরিচয় দেয় । একজন নিজেকে এসআই ও কনস্টেবল হিসেবে পরিচয় দেয়। হামলাকারীদের সাথে আসা এসআই লুৎফর আমার ও আমার আইনজীবদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করে। আমি সাথে সাথে বিষয়টি ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় এবং ভোলা সদর থানার ওসি কে জানিয়েছি।

 

ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কমকতা এনায়েত হোসেন বলেন বিষয়টি আমাকে আইনজীবি ছালাউদ্দিন সাহেব জানিয়েছেন।আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।

সর্বশেষ