১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোলায় হাসপাতালে বাড়ছে নিউমোনিয়া রোগীর চাপ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

ভোলা প্রতিনিধি :: ডেঙ্গুর পর উপকূলীয় জেলা ভোলায় বৃদ্ধি পেয়েছে নিউমোনিয়া। এতে বেশি আক্রান্ত শিশুরা। গত এক মাসে চিকিৎসা নিয়েছেন এক হাজারের অধিক রোগী। যাদের মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হঠাৎ করেই নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেশি হওয়ায় হাসপাতালে বেড়েছে রোগীদের চাপ। স্থান সংকুলার না হওয়ায় এক শয্যায় গড়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২/৩ জন রোগী। যাদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।

ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, ডেঙ্গুর প্রকোপ স্বাভাবিক হলেও বেড়েছে নিউমোনিয়া। টানা বৃষ্টিপাতের পর গরমের প্রকোপ বাড়ায় উপকূলীয় জেলায় ভোলার ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়া রোগী। হাসপাতাল গুলোতে বেড়েছে রোগীর চাপ। সবচেয়ে বেশি চাপ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে। এ হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৯৫ জন। ৬৫ বেডের বিপরীতে রোগীর চাপ বেশি থাকায় শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে।

শয্যার অভাবে বাধ্য হয়েই খাদাগাদি করেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে শিশুদের। এতে ভোগান্তি বাড়ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের।

রোগীর অভিভাবক কুলসুম ও মরিয়ম বেগম বলেন, তিনদিন ধরে শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। এখন ঘরে ঘরে জ্বর বলা যায়, আমরা শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ সময়টায় রোগীর চাপ একটু বেশি, অভিভাবকদের আরও বেশি সচেতন এবং যত্নবান হতে হবে।

আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে রোগীর চাপ কমবে বলে মনে করছেন সিভিল সার্জন ডা. কে এম শফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, হাসপাতাল গুলোতে রোগীর চাপ বেশি হলেও আমাদের ওষুধ পর্যাপ্ত রয়েছর। আমরা সাধ্যমতো রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ৪৮ জন নিউমোনিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে গত ৭ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ২২৪ জনে। এক মাসে মোট আক্রান্ত ১০৪৩ জন।

সর্বশেষ