ভোলা প্রতিনিধি ::: ভোলার সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন একটি এলাকার নাম চর চটকিমারা। ওই চরাঞ্চলের মানুষ নানান সমস্যায় জর্জরিত। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যাতায়াত সকল কিছুতে তারা বঞ্চিত বললেই চলে। ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল তার সাধ্যমত ওই চরাঞ্চলের মানুষের পাশে থাকেন বলে জানা গেছে।
তবুও ওই চরাঞ্চলের গরীব, দিনমজুর মানুষদের কাছে আতঙ্কিত কয়েকজন অসাধু ব্যক্তি। যারা আইন আদালত বসিয়ে রায় দেন। এ আতঙ্কিত মানুষদের মদদে চলে জুনিয়র বাহিনী। ওই বাহিনীর লিডার চটকিমারার কিল্লার অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের সংলগ্ম সোহাগ। এই সোহাগ জুনিয়র বাহিনীর লিডার হিসেবে পরিচিত। সোহাগের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন মিলন নামের আরেক জুয়ারি।
নানান অপকর্মের অভিযোগ এই সোহাগ, মিলনের বিরুদ্ধে। মুখ খোলার সাহস পান না কেউ। অভিযোগ আছে, স্থানীয় একজন মেম্বারের সহায়তায় ছত্রছায়ায় এসব অপকর্ম করে যাচ্ছেন মিলন ও সোহাগ।
সরেজমিনে ভেদুরিয়ার বিচ্ছিন্ন চর চটকিমারা শীতার্তদের মাঝে কম্বল দিতে গিয়ে সোমবার দুপুরে দেখা যায় মাসুম নামের এক যুবক শিকলে বন্দী। কেনো শিকলে বন্দী বিষয়টি জানতে চাইলে যুবকের ভাই মামুন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। বলেন সোহাগ ও মিলন চুরির অভিযোগ দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। তার মা পা ধরে কান্না করলেও ছাড় দেইনি। মানসিক ভারসাম্যহীন মাসুম এখন মাথায় আঘাত পেয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলছে তাই তাকে শিকলে বন্দি করে রেখেছেন।
এ বিষয়ে থানা পুলিশ কে জানিয়েছেন কিনা? এমন প্রশ্নে মামুন বলেন, আমাদের নুরুল ইসলাম মেম্বার বলেছে ফয়সালা করে দিবে কিন্তু তিনি কোন সমাধান করেননি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিলন ও সোহাগের বক্তব্য নিতে চাইলে তাদের পাওয়া যায়নি। নুরুল ইসলাম মেম্বার বলেন, এ বিষয়ে তাদের শাসানো হয়েছে।
ভেলুমিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনজামুল হক বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। আপনারা যেহেতু বলেছেন খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।