২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোলায় ফের ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্ত ফেরিঘাট

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

ভোলা প্রতিনিধি :: ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ইলিশা ফেরিঘাটে যথাযথ কাজ না হওয়ায় বারবার বিধ্বস্ত হচ্ছে কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত হাইওয়াটার ফেরিঘাট, গ্যাংওয়ে ও পন্টুন।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঘাট সংস্কারে বিআইডব্লিউটিএ’র কারিগরি টিম আসার কথা ছিল বলে জানান নদীবন্দর সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান।

গেল বুধবার বিকালে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ওই ঘাট বিধ্বস্ত হয়। এরআগে ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয় নতুন তৈরি করা ঘাটটি। ফের প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয় করে গেল দুই জুলাই ঘাট চালু করা হয়। ওই সংস্কার কাজ নিয়েও ছিল না অভিযোগ। ১০ দিন হাই ওয়াটার ঘাট ছিল লো-ওয়াটার ঘাটের ন্যায় জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ফের ঘাট সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করে বিআইডিব্লিউটিএ’র কারিগরি টিম।

২০ দিন না যেতেই গেল পাঁচ আগস্ট ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্ত হয় ফেরিঘাট ও পন্টুন। ওই থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ভাটার সময় লো-ওয়াটার ঘাট দিয়ে মাত্র দুটি ফেরি চলাচল করে। দুপুর তিনটা থেকে জোয়ারের পানি আসতে ওই ঘাট প্লাবিত হওয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। এতে আটকা পড়েছে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ঢাকা ও চট্টগ্রামের সহস্রাধিক যানবাহন। এর সঙ্গে বাস ও ট্রাক আটকে থাকায় দীর্ঘ তিন কিলোমিটার জুড়ে ছিল যানজটসহ উপচে পড়া ভিড়।

ওই ভিড়ে স্বাস্থ্যবিধি মানতে কাউকে দেখা যায়নি। চট্টগ্রামগামী যাত্রী সাজ্জাদ হোসেন, আতিকুর রহমান, সমীর দাস, বিলকিস জাহান জানান, ঝড় ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে গেল সোমবার ফেরতে পারেননি। যেভাবেই হোক এখন কর্মস্থলে ফিরতে হবে তাদের। অপরদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় ইলিশা ও মজুচৌধুরী ঘাটে আটকা পাড়ে সহস্রাধিক বাস, ট্রাক ও প্রাইভেটকার। এতে চরম দুর্ভোগ বাড়ে যানবাহন শ্রমিক ও যাত্রীদের।

এদিকে ইলিশা ফেরিঘাটের লো-ওয়াটার ঘাটের পাশেই নির্মিত জোয়ারের সময় চলাচলের জন্য হাইওয়াটার ঘাট নির্মাণে ত্রুটি ও অনিয়মের অভিযোগ ছিল প্রথম থেকে। নয়-ছয় করে ঘাট নির্মাণ শেষ করে ঠিকাদার বিল তুলে নেয়ার অভিযোগও ছিল। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ী শ্রমিকসহ হাজার হাজার যাত্রীদের। ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান জানান, ভিড় সামাল দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে তাকে হিমসিম খেতে হয়। ফেরি বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির লিটন জানান, গোড়ায় গলদ থাকায় হাইওয়াটার ঘাটটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেশি। ঘাট টেকসই করার দাবি জানান তিনি।”

সর্বশেষ