২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোলায় লঞ্চে কিশোরীকে যৌন হয়রানি: লঞ্চের ৩ স্টাফ আটক

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি :: ঢাকা টু ভোলার বেতুয়া নৌরুটে চলাচলকারী কর্ণফুলি-১৩ লঞ্চে কিশোরীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় অভিযুক্ত তিন স্টাফকে আটক করে পুলিশ। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত আটককৃত ৩ স্টাফ তজুমদ্দিন থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জানান থানার একটি সুত্র।

তজুমদ্দিন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ জসিম উদ্দিন খাঁন জানান, গত শনিবার ঢাকা টু ভোলার বেতুয়া নৌরুটে চলাচলকারী কর্ণফুলি-১৩ লঞ্চ স্টাফদের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার ওই কিশোরীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রবিবার দিবাগত রাত ৫টায় তজুমদ্দিন থানা পুলিশের একটি দল স্লুইজঘাটে কর্ণফুলি ১৩ লঞ্চে অভিযান চালায়। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িত শাকিল, গিয়াস উদ্দিন ও শাকিল নামের ৩ স্টাফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। তাদের তজুমদ্দিন থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

অপরদিকে যৌন হয়রানির শিকার কিশোরীর কোনো অভিভাবক খুঁজে না পাওয়ায় এখন পর্যন্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ। ওই কিশোরীকেও রবিবার দিবাগত রাত থেকে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত সোমবার সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত থানা হেফাজতে রয়েছে বলে জানান থানার একটি সুত্র।

তজুমদ্দিন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এনায়েত হোসেন জানান, সম্প্রতি মেয়েটিকে লঞ্চের স্টাফ গিয়াস উদ্দিন ঢাকায় একটি বাসায় কাজ করতে দিলে মেয়েটি সেখান থেকে মোবাইলসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে পালিয়ে যায়। এরপর গত শনিবার ওই কিশোরী ঢাকায় যাওয়ার জন্য আবার লঞ্চে উঠলে গিয়াস তাকে দেখতে পেয়ে হাত ধরে লঞ্চের পিছনে নিয়ে যায় এবং চুরির অপরাধে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখায়। কিন্তু এক পর্যায়ে মেয়েটি লঞ্চের পিছন থেকে সামনে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়।

উল্লেখ্য, রবিবার ৫ জুলাই দুপুর ১টায় তজুমদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরী সাংবাদিকদের জানিয়েছে, গত শনিবার কাজের সন্ধানে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে তজুমদ্দিন স্লুইজঘাট থেকে কর্ণফুলি-১৩ লঞ্চে উঠেন। লঞ্চে উঠার পর লঞ্চের স্টাফরা ওই কিশোরীকে বিভিন্ন কুপ্রস্তাবের মাধ্যমে যৌন হয়রানি করতে থাকেন। একপর্যায়ে কিশোরীকে ২’শ টাকার বিনিময়ে তাদের সাথে কেবিনে রাত্রি যাপন করার প্রস্তাব দেয়। পরে ইজ্জত রক্ষার্থে কিশোরী নদীতে ঝাঁপ দেন। কিন্তু লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করতে একটি বয়া ফেললেও পানির স্রোতে বয়া ধরতে পরেনি কিশোরী।

পরবর্তীতে তাকে উদ্ধারে অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যান লঞ্চটি। নদীতে ঝাঁপ দেয়ার প্রায় ৩ ঘন্টা পর জেলেরা তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে ওই কিশোরীকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

সর্বশেষ