১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ভোলায় স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে জখম

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

ভোলা প্রতিনিধি :: ভোলার লালমোহন উপজেলার ফুলবাগিচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল্লাহ আল-মামুনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় বদরপুর ইউনিয়নের দেবীরচর বাজারের চিহ্নিত মাদক কারবারী, ইভটেজার, সন্ত্রাসী মঞ্জু মেলকারসহ আরও কয়েকজন সন্ত্রাসী গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দেবীরচর বাজার পশ্চিম মাথা মনির খলিফার দেকানের সামনে তাকে এলোপাতাড়ি কোপায়। এসময় ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এবং আহত মামুনকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

শিক্ষক মামুন বদরপুর ইউনিয়নের বগীরচর গ্রামের আলহাজ্ব হাবিব উল্যাহ মাস্টারের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়- গতকাল বুধবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যার পর শিক্ষক মামুন দেবীরচর বাজার পশ্চিম মাথা মনির খলিফার দেকানের সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছিল। এসময় মামুনের ওপর আকস্মিক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মঞ্জু মেলকার, বেলাল, সাকিল সহ আরও ৪/৫জন সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা করে। একপর্যায়ে তারা মামুনের হত্যার উদ্দেশে মাথায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। মামুন মাথা সরিয়ে নিলেও তার মাথায় কোপ লাগে। পরে সন্ত্রাসীরা তাকে বেদম মারধর করে। মামুনের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তখন আহত মামুনকে লালমোহন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

শিক্ষক মামুনের ওপর হামলার খবর শুনে লালমোহন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদসহ স্থানীয় বদরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে তাকে দেখতে যান।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মঞ্জু মেলকার এর আগে একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করায় শিক্ষক মামুন বাধা দিয়েছিল। তখন পুলিশ মঞ্জু মেলকারকে গ্রেপ্তার করেছিল এবং তার এক বছরের সাঁজাও হয়েছিল। ৬ মাস জেল খেটে সে জামিনে বের হয়ে এসে শিক্ষক মামুনের ওপর প্রতিশোধ নিল বলে মনে হচ্ছে।

শিক্ষক মামুনের শ্বশুর দেবীরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান বলেন, মঞ্জু মেলকার এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সে এলাকায় গাঁজা, ইয়াবা বিক্রি, অন্যের জমি জোর করে দখলসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত।

এ ব্যাপারে মঞ্জু মেলকারগংদের বিরুদ্ধে আমরা লালমোহন থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

সর্বশেষ