২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দেশের বীমা খাতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২৯ মে সারাদিন লালমোহন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ মার্কায় ভোট দিন আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম সৌদিতে ২৮৭৬০ বাংলাদেশি হজযাত্রী পৌঁছেছেন, দুইজনের মৃত্যু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন : দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন সোমবার থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাত থেকে সাগরে মাছ ধরা ৬৫ দিন বন্ধ বোরহানউদ্দিনে ভোটারদের টাকা দেওয়ার ছবি ভাইরাল, ক্ষমা চাইলেন ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাচন ঘিরে ভোলার উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ড মোতায়েন

ভোলা জেনারেল হাসপাতালে যোগদান করেই চলে যান চিকিৎসক!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

ভোলা প্রতিনিধি ::: চিকিৎসক সংকটে ভোলা জেনারেল হাসপাতালে এসে রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। এখানে চিকিৎসকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এতে দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে অনেক রোগী বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে ছুটছেন। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে তাদের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভোলা বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ এলাকা, এখানে ডাক্তাররা থাকতে চান না। কেউ কেউ যোগদান করেই আবার চলে যান। চলমান সংকট দূর করতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

২৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে প্রতিদিন বহির্বিভাগে পাঁচ শতাধিক ও আন্তঃবিভাগে চার শতাধিক রোগী চিকিৎসা নেন। বিপুলসংখ্যক রোগীর চিকিৎসা দিতে ৬১ জন চিকিৎসকের বিপরীতে কর্মরত মাত্র ২৫ জন। একজন সহকারী পরিচালক, ছয়জন সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ৯ জন জুনিয়র কনসালট্যান্ট, অ্যানেসথেটিস্ট চারজন, রেডিওলজিস্ট একজন, ৯ জন সহকারী রেজিস্ট্রার, দু’জন মেডিকেল অফিসারসহ ৩৬ চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। নিউরোলজি ও কার্ডিওলজির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে চিকিৎসক নেই। ২১ জন সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ দ্বিতীয় শ্রেণির ২৯টি, তৃতীয় শ্রেণির ২০টি ও চতুর্থ শ্রেণির ১৮টি পদ খালি পড়ে আছে বছরের পর বছর। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় কার্ডিয়াক বিভাগে ভর্তি হওয়া রোগীরা কোনো সেবাই পাচ্ছেন না।

সম্প্রতি বোরহানউদ্দিনের জয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম বুকের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসক না থাকায় স্বজনরা তাঁকে বরিশাল নিয়ে যান। বুকের ব্যথা নিয়ে কার্ডিয়াক বিভাগে ভর্তি হন নাসরিন আক্তার। ভর্তির সময় জরুরি বিভাগে ইসিজিসহ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেওয়া হয়। বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে আনলেও চিকিৎসকের অভাবে ২৪ ঘণ্টায়ও রিপোর্ট দেখানো সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে নাসরিন আক্তারকে স্বজনরা ঢাকায় নিয়ে যান। রফিকুল ইসলাম ও নাসরিনের মতো এমন ভোগান্তি এ হাসপাতালে প্রতিদিনের চিত্র।

হাসপাতালে রোগীর সঙ্গে আসা কয়েকজন স্বজন জানান, এ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকুই মেলে। জটিল সমস্যা নিয়ে আসা রোগীরা যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। বেশির ভাগ রোগীকেই বরিশালের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হয়। মেডিকেল টেকনোলজিস্টের অধিকাংশ পদ শূন্য থাকায় অনেক পরীক্ষাই বাইরে থেকে করাতে হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত টাকা খরচের পাশাপাশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীরা।

চিকিৎসকরা বলছেন, হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। যে কারণে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে তাদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। নিউরোলজি, কার্ডিওলজিসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য থাকায় সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

জেলা উন্নয়ন ও স্বার্থ রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ রায় অপু জানান, চিকিৎসক সংকটের কারণে দ্বীপজেলার মানুষ সেবাবঞ্চিত হচ্ছে। কিছু চিকিৎসক পদায়নের পরই চলে যান। সেটি রোধ করতে পারলেই হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা উন্নত হবে, উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ।

কথা হলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক মনিরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন নানা ধরনের রোগী আসছে। তাদের সামলাতে বেগ পেতে হয়। জনবল স্বল্পতার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ