১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোলা সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে গলাকাটা ভাড়া, জিম্মি রোগীরা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

ভোলা সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে চলছে রমরমা ভাড়া বাণিজ্য। আবার চালক না হয়েও চালাচ্ছেন অ্যাম্বুলেন্স, সেবার নামে জিম্মি রোগীরা। স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম-নীতিকে উপেক্ষা করে এক শ্রেণীর অ্যাম্বুলেন্স চালক ও মালিকদের সাথে মিলে এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে সরকারি ভাবে দেওয়া অ্যাম্বুলেন্স থেকে কেন বিতারিত হচ্ছে ভোলার সাধারন জনগন। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা পেতে ড্রাইভারদের ফোন করলে তা রিসিভ না করা ও ঠিকমত তাদের না পাওয়ার অভিযোগও তুলেছেন ভুক্তভুগী অনেক রোগী।

এ বিষয়ে খোজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালে চাকুরি করা কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী এই অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসার সাথে জরিত, বহিরাগত অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ীদের সাথে তাল মিলিয়ে সদর হাসপাতালের ভিতরে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা। ফলে দিন দিন ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে সাধারন মানুষ।

সরকারি কর্মকর্তা ও বহিরাগত অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের দখলদারিত্বের কারনে হাসপাতালে আসা রোগী ও আত্নীয় স্বজন প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার হচ্ছে। চুরি, ছিনতাই থেকে শুরু করে নানা অপরাধমুলক কর্মকান্ডের শিকার হচ্ছে রোগীরা। গরিব মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রচুর অর্থ।

সরকার কতৃক নির্ধারিত অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ধার্য্য করে দেওয়া হলেও রোগীদের গুনতে হচ্ছে দ্বিগুন টাকা। পৌরসভার ভিতরে ২৫০ টাকা এবং পৌরসভার বাহিরে প্রতি কিলোমিটারে ২০ টাকা করে ভাড়া ধার্য্য করে দেওয়া হলেও সেটা মানতে নারাজ অসাধু ব্যবসায়ীরা। ফলে হাসপাতালে আসা ভুক্তভুগী রোগীরা নানা হয়রানীর শিকার হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতালের দক্ষিন পাশে প্রায় ২০-২৫ঃ টি মালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং করা আছে। কিন্তু সেখানে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ৩টির উপস্থিতি চোখে না পড়ার মতই।

ফিটনেছবিহীন এই সমস্ত অ্যাম্বুলেন্স এর ত্রুটির কোন শেষ নেই, রুট পারমিটের নেই কোন অনুমোদন, ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে শুরু করে নেই গাড়ির কোন কাগজ পত্র, অ্যাম্বুলেন্সে নেই রোগী বহনকারি কোন সরঞ্জাম। তাহলে কিভাবে তারা চালিয়ে যাচ্ছে এই অবৈধ ব্যবসা।

এ বিষয়ে ভোলা সদর হাসপাতালের সহকারী তত্তাবোধক ডঃ মহিবুল্লাহ জানান, সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারদের সতর্ক করে অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বহিরাগত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে উদ্ভেগ প্রকাশ করে বলেন, এরা স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে কতৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দীর্ঘ দিন যাবত এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। শীগ্রই জেলা প্রশাসকের আইন শৃংখলার মাসিক মিটিংয়ে বহিরাগত অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা উচ্ছেদের আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। পাশাপাশি তিনি প্রিন্ট ও মিডিয়া সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

কবে শেষ হবে এই অবৈধ অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা, কবে সাধারন মানুষ শান্তিপুর্ন ভাবে হাসপাতালে এসে ভালভাবে কম খরচে সুন্দর ভাবে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করতে পারবে, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

সর্বশেষ