১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

মঠবাড়িয়ায় জমি নিয়ে বিরোধে মা-ছেলেসহ একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে জখম

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পিরোজপুর প্রতিনিধি ঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জমি নিয়ে বিরোধে মা ছেলে সহ একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে-পিটিয়ে জখম করেছে করিম মুন্সী ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীরা। আহতরা হলেন, উপজেলার দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের সৌদি প্রবাসী মোস্তফা মুন্সীর ছেলে শামীম আহসান, শামীমের মা রোকেয়া বেগম, শামীমের চাচি সাবিনা আক্তার এবং চাচাতো ভাই শাহিন। এ ঘটনায় বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা ও আহত সূত্রে জানাগেছে, ঢাকা মাইলস্টোন কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনে আগ্রহী শামীম আহসান ও তার পরিবারের সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী মালেক মুন্সীর ছেলে করিম মুন্সী ও তাদের সহযোগী হালিম মুন্সীদের বিরোধ চলে আসছিল।

করিম মুন্সী, হালিম মুন্সী ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীরা জোরপূর্বক জমি দখল করতে শামীম ও তার পরিবারের উপর দীর্ঘদিন ধরে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। শামীমের বাবা মোস্তফা মুন্সী প্রবাসে থাকার সুযোগে করিম মুন্সী ও তার বাহিনী জমি দখল করতে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এনিয়ে শালিস বৈঠক হলে সম্প্রতি শালিসগন উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমে জমির ভাগবন্টন করে দেন।

শালিসগনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘটনার দিন ২০ সেপ্টেম্বর সকালে জমি চাষাবাদ করতে গেলে পূূূূর্ব পরিকল্পিতভাবে করিম মুন্সি, হালিম মুন্সি, তাদের সহযোগী ডালিম, ইউনুচসহ ১০-১২ জন রামদা, লোহার পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে শামীম আহাসানের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় শামীমকে বাঁচাতে রোকেয়া বেগম, শাহিন, সাবিনা আক্তার এগিয়ে গেলে তাদেরকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শামীম, সাবিনা ও শাহিনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। রোকেয়া বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন। সন্ত্রাসীদের হামলায় শামীম আহসান ও সাবিনা আক্তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপে মারাত্মক জখম হয়েছে। তাদের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। অবস্থার অবনতি হলে যেকোনো সময় তাদের দুজনকে ঢাকায় প্রেরণ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার ওসি (তদন্ত) আঃ হক জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ