১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মঠবাড়িয়ায় জেলেদের চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জাটকা শিকারে বিরত থাকা জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তার (বিশেষ ভিজিএফ) চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ১০ নং হলতা গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক জেলেদের জন্য মানবিক সহায়তার চাল সঠিকভাবে বিতরণ না করায় এ অভিযোগ ওঠে বলে জানা গেছে।

সোমবার সকাল ১০টা থেকে পর্যায়ক্রমে গুলিশাখালী ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ শুরু হয়।জেলেদের প্রাপ্য নির্দিষ্ট পরিমান চাল না দেওয়ার অভিযোগে জেলেরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

জানা গেছে, উপজেলার ১০ নং হলতা গুলিশাখালী ইউনিয়নে ৬১০ জন জেলেদের জন্য ৩৪ টন ১৬০ কেজি চাল বরাদ্ধ দেওয়া হয়। প্রত্যেক কার্ডধারী মাথাপিছু ৫৬ কেজি চাল পাওয়ার কথা থাকলেও কেরিং খরচের কথা বিবেচনা করে জেলেরা চেয়ারম্যানের কথামত ৫০ কেজি করে নিতে সম্মত হয়।কিন্তু ৫০ কেজির কম দেওয়া শুরু করলে জেলেরা বিক্ষোভ শুরু করেন।

জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, ৫৬ কেজির জায়গায় আমাদের ৫০ কেজি দিলেও আমরা মেনে নিতাম।কিন্তু ৪৬/৪৭ কেজিতো মেনে নিতে পারি না।এসময় জেলেরা সেনাবাহিনীর মাধ্যমে চাল বিতরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট আহবান জানান।

গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা স্বপন তালুকদার জানান,জেলেরা সত্য কথা বললেই গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়।ইউপি সদস্যরাও জিম্মি।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সৃদৃষ্টি প্রয়োজন।

স্হানীয় ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, কেরিং খরচ বিবেচনা করে ৫৬ কেজির পরিবর্তে ৫০ কেজি করে বিতরনের সিদ্ধান্ত হয়।কিন্তু ৫০ কেজির কম দেওয়ায় জেলেরা বিক্ষোভ শুরু করে।

গুলিশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী একে আজাদ এবি জানান, চেয়ারম্যানের অবহেলার কারনেই ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারীর কাছে ১০ কেজি চালের স্লিপটা পর্যন্ত নিতে আসতে হয়।পরিষদের ১২ জন মেম্বর থাকতে বিএনপি নেতাকে দিয়ে দায়িত্ব পরিচালনা আমাদের বুঝে আসে না।এভাবে চলতে থাকলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে বলে মনে করছেন স্হানীয় তৃনমূল নেতৃবৃন্দ।

স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনো জানান, মঠবাড়িয়া খাদ্য গুদাম থেকে চাল আনতে ৪০ হাজার টাকা কেরিং খরচ হয়। এজন্য কিছু চাল কম দিয়ে কেরিং খরচ সমন্বয় করা হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানান, জেলেদের প্রাপ্য থেকে একমুঠো চাল কম দেওয়াও অনিয়ম।চাল বিতরনের সময় ট্যাগ অফিসার পাঠানো হয়।তারপরও অভিযোগ পেলে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য যে, চাল বিতরনের সময় ট্যাগ অফিসারকে পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ