২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বরিশালে অভয়াশ্রমের নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরার অপরাধে ৮ জেলেকে জরিমানা বরিশাল-পটুয়াখালীসহ দেশের ৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে দুটি মৃত কচ্ছপ বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার হলেন কবি বিজন বেপারী রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে : লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাথে এসএম জাকিরের মতবিনিময় সুধীজনদের সন্মানে  চরফ্যাশন রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ইফতার মাহফিল  হার্ডলাইনে পুলিশঃ এবার বরিশালে পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য চলবেনা রোজা রেখে মুখের দুর্গন্ধ এড়াবেন যেভাবে বাসায় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া, সিদ্ধান্ত মেডিকেল বোর্ডের

মঠবাড়িয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার কে.এম.লতিফ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচালনার অব্যবস্থাপনা, আর্থিক দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও শিক্ষক কর্মচারীদের স্কুল প্রদেয় ভাতাদি গত ২০ মাস ধরে স্থগিত রাখার অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ। বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ ২০ জন শিক্ষক সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ ২২ টি অভিযোগ আনেন। শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে স্থানীয় মোগল কিচেন রেস্তোরায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান ২০ জন শিক্ষক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক অবসরে গেলে ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রæয়ারী বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি খামখেয়ালী ভাবে পরিচালনা করে আসছেন। শিক্ষকদের নানা ভাবে হয়রানী ও অসৌজন্য মূলক আচরন করছেন। গত ২০ মাস ধরে শিক্ষদের স্কুল প্রদেয় বেতন-ভাতাদি বন্ধ করে রেখেছেন। বর্তমানে করোনা কালে শিক্ষকরা বিদ্যালয় হতে ভাতাদি না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের অনুদান দুই লক্ষ টাকা, ওই বছর একটি বেসরকারি সংস্থার সম্মেলন খরচ বাবদ
৬০ হাজার টাকা চলতি বছর বিদ্যালয়ের ম্যাগাজিন প্রকাশ বাবদ ৩ লক্ষ ২১ হাজার টাকার ভুয়া বিল ভাউচারসহ বিদ্যালয় ফান্ডের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের অর্থে নির্মিত কে এম লতিফ সুপার মার্কেটে ৬৫০ টি দোকান রয়েছে। ওই দোকান বরাদ্দ বাবদ স্টল প্রতি ২ লক্ষ টাকা নেয়া হয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের অন্নান্য আয়াসহ বিদ্যালয়ের ফান্ডে আনুমানিক ১০ কোটি টাকা গচ্ছিত থাকার কথা। যা এখন শুন্যের কোঠায়। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির কারনে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ও শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। প্রধান শিক্ষককে অপসারণ করে বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও আর্থিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবী জানান শিক্ষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অমল চন্দ্র হালদার, বর্তমান সহকারী শিক্ষক মোঃ নুর হোসেন ও মোঃ এনামুল হক।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ সত্য নয়। বিদ্যালয়ের অর্থ খরচ আমার একার আওতাভুক্ত নয়। সকল খরচের বিল ভাউচার সংরক্ষিত আছে।

সর্বশেষ