৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মঠবাড়িয়ায় সেই প্রধান শিক্ষক বদলি, স্বপদে সহকারী শিক্ষক

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পিরোজপুর প্রতিনিধি ::: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সেই বিতর্কিত শিক্ষক মো. মাইনুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে। তবে সহকারী শিক্ষক তামান্না নুসরাত স্বপদে বহাল রয়েছেন। রবিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মু. সাঈদুর রহমান স্বপন এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষা কর্মকর্তা মু. সাঈদুর রহমান স্বপন বলেন, মাইনুল ইসলামকে ৫২ নং মধ্য মিঠাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছে। শিক্ষিকা তামান্না নুসরাতের বিষয়টিও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

এর আগে, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার বিভিন্ন পত্রিকায় ‘মঠবাড়িয়ায় দুই শিক্ষকের বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন অপসারণের দাবি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর এ বদলির ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, মাইনুল ইসলাম পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ৫৬ নং মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং তামান্না নুসরাত একই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা। দীর্ঘ বছর গোপন সম্পর্কের পর সম্প্রতি তারা বিয়ে করেছেন। এরই প্রেক্ষিতে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে তাদের অপসারণের দাবিতে গত ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে মঠবাড়িয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সড়কে মানববন্ধন হয়। অভিভাবক ও এলাকাবাসীর আয়োজনে এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন বলে জানা যায়।

এ সময় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কলামিস্ট নূর হোসাইন মোল্লার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, অভিভাবক প্রভাষক মো. ফারুক হোসেন, শিক্ষক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা শাহ আলম দুলাল, অভিভাবক সালমা বেগম, সাংবাদিক মো. শাহজাহান মিয়া প্রমুখ।

এদিকে সহকারি শিক্ষিকা তামান্না নুসরাত স্বপদে বহাল থাকায় আপত্তি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। এ বিষয়ে জানতে শিক্ষিকা তামান্না নুসরাতের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম জানান, সহকারি শিক্ষিকা তামান্না নুসরাতকে বৈধ ও আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত তাকে মেনে নিতেই হবে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ