১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

মনপুরায় জেলেদেরকে মা*রধ*র করে টাকা ছি*নিয়ে নিল মৎস্য কর্মকর্তারা!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

ভোলা প্রতিনিধি ::: ভোলার মনপুরায় জলদস্যু স্টাইলে জেলেদেরকে মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে মৎস্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। মেঘনায় মাছ ধরে বিক্রি করে আসার সময় দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত ৩ টি স্পীড বোট যোগে এসে জেলেদের মাছধরা ট্রলারে উঠে হাত-পা বেঁধে মারধর করে। এ সময় জেলেদের সাথে থাকা মাছ বিক্রি করা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় ওই মৎস্য কর্মকর্তারা।

ওই ঘটনায় মারধরের স্বীকার জেলেরা বাদী হয়ে মনপুরা থানায় অভিযোগ করেন।

শনিবার (৪ মে) দুপুর আড়াই টায় উপজেলার ১ নং মনপুরা ইউনিয়নের আন্দিরপাড় সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১ নং মনপুরা ইউনিয়নের বিপ্লব মাঝি ও নাইম মাঝির মাছ ধরা নৌকা দুটি মেঘনায় ইলিশ মাছ ধরে নোয়াখালির চেয়ারম্যান ঘাটে বিক্রি করে আসছিলো।এ সময় দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ৩ টি স্পীড বোট নিয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসের মেরিন ফিসারিজ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে একদল মৎস্য কর্মকর্তা জেলেদেরকে ধাওয়া করে। পরে তারা জেলেদের নৌকায় উঠে জেলেদের হাত-পা বেঁধে লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে এলাপাতারি মারধর করে জখম করে। এ সময় জেলেদের সাথে থাকা মাছ বিক্রি করা নগদ ৪৩ হাজার ৫৮০ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং বিষয়টি কাউকে জানালে বা বাড়াবাড়ি করলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে উপজেলার সোনার চর নামক স্থানে জেলেদেরকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীরা জেলেদেরকে উদ্ধার করে মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে মারধর ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জেলেরা বাদী হয়ে মনপুরা থানায় অভিযোগ করেন।

জানা যায়, বিভিন্ন উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত এই যৌথ টিমে আরও ছিলেন, ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আল আমিন, মাদারীপুর জেলা মৎস্য অফিসের সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন, চাঁদপুর মৎস্য অফিসের মোঃ রিয়াদ হাসান, চাঁদপুর অফিসের ক্ষেত্র সহকারি আশরাফুল ইসলাম ও জসিম হোসেন, নরসিংদী মৎস্য অফিসের ইসহাক আলী, মোঃ শুভ ও মোঃ সুজন।

এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগকারি বিপ্লব মাঝী বলেন, মনপুরার মৎস্য কর্মকর্তারা অভিযানের নামে একাধিকবার আমাদেরকে মারধর, টাকা ছিনতাই ও জিম্মি করে টাকা আদায় করেছে। থানায় বহুবার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি। এবারও আমাদের সাথে একই ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত ঘটনার সুষ্টু বিচার চাই আমরা।

অভিযোগ অস্বীকার করে মনপুরা মেরিন ফিসারিজ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, আমাদের জেলা অফিসের নির্দেশে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মেঘনায় একটি যৌথ টিম অভিযান পরিচালনা করে। আমি তাদের সাথে ছিলাম না। এ ব্যাপারে তেমন কিছুই জানি না।

এ ব্যাপারে মনপুরা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, মেঘনায় জেলেদেরকে মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। অনুসন্ধান পূর্বক মৎস্য বিভাগীয় উচ্চপদস্ত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সর্বশেষ