৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
২৪ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি বরিশালের সুইমিংপুল কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ,ডক্টর ,আ ন ... অবশেষে ভোলায় স্বস্তির বৃষ্টি পিরোজপুরে নামল স্বস্তির বৃষ্টি প্রবাসে স্বামীদের জিম্মি করে দেশে স্ত্রীদের ধর্ষণ করেন পাথরঘাটার মামুন! আমতলীতে কুরিয়ার সার্ভিসে ৮ কেজি গাঁজা, দেবর-ভাবি গ্রেপ্তার বাউফল উপজেলা নির্বাচনে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে মিছিল করায় চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ আমি চেয়ারম্যান হতে নয়, এসেছি জনগণের সেবা করতে : খান মামুন আগৈলঝাড়ায় দুধ দিয়ে গোলস করে দল ত্যাগ করলেন বিএনপি নেতা বরিশালে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ২

মরা গাছের কবলে পড়ে নবনির্মিত উপজেলা অডিটোরিয়াম এখন মরণ ফাদ !

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মোঃ গোলাম সরোয়ার মনজু: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নব নির্মিত সম্মেলন কক্ষ (অডিটোরিয়াম) চত্বর সহ উপজেলা পরিষদে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় অর্ধশত মরা গাছ রয়েছে। যা যানবাহন ও মানুষের জীবনের জন্য মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। রয়েছে বড় ধরণের বিপদের শঙ্কা।
উপজেলা পরিষদের বুক চিরে বয়ে যাওয়া বরিশাল – বরগুনা মহসড়কে চলাচল করা পথচারী, যানবাহন ও উপজেলা পরিষদে সেবা নিতে আসা জনসাধারণের উপর যখন-তখন ভেঙে পড়ছে ডাল। ফলে উপজেলা পরিষদ চত্বরের মরা গাছগুলো মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মরা গাছগুলো উপজেলা পরিষদের। এই গাছগুলো অনেক বয়স হওয়ায় কারণ সহ ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরের সিডর থেকে শুরু করে ২০২০ সালের ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে গোড়া নরে গিয়ে গাছগুলো মরে গেছে। যা এখন শুকিয়ে সামান্য বাতাস ছাড়াও বড় বড় ডাল ভেঙে মানুষের, যানবাহনের উপর পরে। এখনও পর্যন্ত বড় কোন দূর্ঘটনা না ঘটলেও সেদিন বেশি দূরে না। যেকোন মূহুর্তে ঘটে যেতে পারে প্রাণনাশের মত ঘটনা। মরে যাওয়া শুকনো গাছগুলো উপজেলা পরিষদ উদাসীন হয়ে অপসারণ করছেন না।
তারা আরও বলেন, মারা যাওয়া এসব গাছ অপসারণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করলেও কোনো লাভ হয়নি। কয়েক বছর ধরে বছর ধরে মরা গাছগুলো এভাবেই ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রাস্তায় চলাচল করছেন যানবাহন, পথচারীরা এবং উপজেলা পরিষদে সেবা নিতে আসা জনসাধারণ।
স্থানীয় কয়েকজন রিকশা ও অটো চালকের সাথে কথা বললে তারা জানান, প্রতিদিনই তাদেরকে এ রাস্তায় চলাচল করতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। কয়েকদিন পূর্বে হালকা ঝড়ে একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন এক রিকশা চালক ও রিকশায় থাকা একজন যাত্রী। এজন্য আমাদের আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস বলেন, যেহেতু এটা কাটার অনুমতি দিবে মন্ত্রনালয় থেকে সেহেতু আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনেক আগেই কাগজপত্র পাঠাইছি। অনুমতি পেলেই কাটা হবে।
এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, গাছগুলো মরে যাওয়ায় মানুষের রাস্তা দিয়ে চলাচলে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। আমি নিজেই মাঝে মধ্যে এখানে এসে দাঁড়ালে লোকজন জড়ো হয়। তখন ভয়ে থাকি কখন যেন মরা গাছ অথবা গাছের ডাল মাথার উপর ভেঙে পড়ে। ইতোমধ্যে গাছগুলো কেটে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। দ্রুত মরা গাছ গুলো অপসারণ করা হবে।

সর্বশেষ