১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বোরহানউদ্দিনে মাটির নিচে চাপা পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু কাঁঠালিয়ায় ডাকাতের গুলিতে আহত ২, টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রাজপথে মোকাবিলা করতে হবে : পিরোজপুরে শেখ পরশ পটুয়াখালীতে মহাসড়কে অটোরিকশা চালাতে প্রতি মাসে দিতে হয় হাজার টাকা দশমিনায় মোটরসাইকেল মার্কার কর্মীকে পেটালো প্রতিপক্ষ জাল ভোট পড়লেই ভোটকেন্দ্র বন্ধ : ঝালকাঠিতে ইসি আহসান বরিশালে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে পুলিশ বরগুনায় জুয়া খেলার ছবি তোলায় সাংবাদিককে মা*রধর, ক্যামেরা ছিন*তাই দুর্যোগ মোকাবিলায় ১ কোটি স্বেচ্ছাসেবী গড়ে তোলার পরিকল্পনা মঠবাড়িয়ায় মাদ্রাসার নিয়োগে ৫০ লক্ষ টাকার উৎকোচ বানিজ্য !

এক ইউনিয়নেই ২৩ ইটভাটা, বিপন্ন পরিবেশ, নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

জাহিদ হাসান, মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর পাঁচখোলা গ্রামে এক সময় দুচোখ যতদূর যেতো ততদুর ছিলো সবুজের সমারোহ। দুই-তিন ফসলি জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলতো। ইটভাটার আগ্রাসনে সেই সব ফসলি জমি হারিয়ে গেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার উত্তর পাঁচখোলা গ্রামের ফসলি জমিতে রহিম খান ও সোবাহান ফকির গড়ে তুলেছেন একাধিক ইটভাটা। বিভিন্ন স্থানে গভীর গর্ত করে উর্বর মাটি তুলে ফেলা হয়েছে। আবার কোথাও সারি সারি ইট সাজিয়ে রাখা হয়েছে। পাশেই চিমনি দিয়ে বের হচ্ছে কালো ধোয়া। এতে করে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। শুধু এই দুই মালিকই না। এমন চিত্র সারা মাদারীপুরেই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নেই গড়ে তোলা হয়েছে ২৩টি ইটভাটা। এদের অধিকাংশ ইটভাটার ইট পোড়ানোর অনুমতি আছে। স্থানীয়দের অভিযোগ পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্মাদের যোগসাজসেই চলছে এই অবৈধ কর্মকান্ড। এতে করে স্বাস্থ্যগত মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। একারনে ক্ষুব্ধ সাধারণ নাগরিকরা।
পাঁচখোলা গ্রামের বাসিন্দা মোকলেসুর রহমান মোল্লা বলেন,‘আমাদের এলাকায় আগে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদিত হতো। কিন্তু গ্রামের অধিকাংশ ফসলি জমি এখন ইটভাটার দখলে। এরা জমি এমনভাবে গর্ত করে যাতে করে পাশের জমি ভেঙ্গে পড়ে।এভাবই জমিগুলো দখল করছে। ইটভাটার কারনে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি, স্বস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে মানুষ। আমরা এর প্রতিকার চাই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, ‘কৃষি ও কৃষিজমি নষ্টের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ইটভাটা। এ ছাড়া ভাটার দূষণ ও বিরূপ প্রভাবে আশপাশের জমির ফসলহানি হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উচিত নয় ফসলি জমি নষ্ট হয় এমন স্থানে ইটভাটার লাইসেন্স দেয়া।
অথচ, ফসলি জমিতেই গড়ে উঠেছে ইটভাটা।’
মাদারীপুর জজ কোর্টের এপিপি এডভোকেট আবুল হাসান সোহেল বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনে বলা আছে আবাসিক এলাকা ও কৃষি জমিতে কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। শুধু তা-ই নয়, ওই আইনে বলা হয়েছে নির্ধারিত সীমারেখার (ফসলি জমি) এক কিলোমিটারের মধ্যেও কোনো ইটভাটা করা যাবে না।
মাদারীপুর ইটভাটা শিল্প মালিক সমিতির দায়িত্বশীল নেতারা এই বিষয় কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি অভিযুক্ত ইটভাটা মালিকরাও কথা বলতে চান না।
এব্যাপারে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন,‘কোনো কৃষি জমি নষ্ট করে ইটভাটা করা যাবে না। আইনগতভাবে এটা নিষিদ্ধ। অবৈধ ইটভাটা থাকলে সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।’

সর্বশেষ