১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাদারীপুরে মশলার বাজারে আগুন, দাম নিয়ন্ত্রনের বাইরে থাকায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
জাহিদ হাসান, মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরে কোনকিছুতেই নিয়ন্ত্রনে আসছে না মশলার বাজার। দাম বাড়তি হওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। এ নিয়ে যেন মাথাব্যাথা নেই কর্তৃপক্ষের।
শনিবার শহরের পুরানবাজারের কাঁচাবাজারের পাইকারি আড়ৎ ঘুরে দেখা যায়, রসুন পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকা কেজি, ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, আদার কেজি ২৭০-২৮০ টাকা। এছাড়া ধনিয়ার গুঁড়া ৩০০-৩২০ টাকা কেজি, ৪০০ টাকা কেজি হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া বিক্রি হচ্ছে ৪২০-৪৪০ টাকা কেজি দরে। আর জিরা ৭০০ টাকা ও এলাচ বিক্রি ৩৬০০ টাকা কেজি দরে। সপ্তাহের ব্যবধানে মশলার দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
যদিও বিক্রেতাদের দাবি, আমদানি কম হওয়ায় সরবারহ কমে গেছে, তাই দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার কথা জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
ক্রেতা শফিকুল ইসলাম মাতুব্বর বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হুহু করে বাড়ছে। যে যেভাবে পারছে সে সেভাবইে দাম রাখছে। এটা দেখার যেন কেউ নেই।
আরেক ক্রেতা আবু সাঈদ মিয়া বলেন, আয়ের চেয়ে এখন ব্যয় বেশি। মশলার বাজারে তো আগুন, এটি নিয়ন্ত্রন কে করবে সেটা আমরা জানি না। দাম বেশি হলেও কিনে খেতে হয়।
পাইকারী দোকানদার বেলায়েত হোসেন বলেন, আমরা সামান্য লাভে পাইকারি মশলা ও কাঁচা পণ্য বিক্রি করে থাকি। কিন্তু খুচরা দোকানীরা হয়তো একটু বাড়তি দামে এগুলো বিক্রি করে। এজন্য তো আমরা দায়ি না।
ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ঈদের পর কেনাবেচা কমে গেছে। মালের আমদানি কম হওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দোকান ভাড়া ও খরচের টাকাও উঠছে না।
আরেক মশলার বোরহান বেপারী বলেন, অধিকাংশ মশলা বিদেশ এসে আমদানি করা হয়। তাই দাম বাড়তি। আমাদের দেশে উৎপাদিত মশলা পুরো বছর থাকে না। আমদানি করতে বেশি খরচ, এজন্য দাম বেড়েছে। এক্ষেত্রে আমরা ক্ষুদ্র দোকানী কি’ই বা করতে পারি।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফরের মাদারীপুরের সহকারি পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, ক্রেতাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কোন দোকানি বাড়তি দাম রাখলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ