১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মুজিববর্ষের কেক নিয়ে ঢাকা যাওয়া আগৈলঝাড়ার সেই শিক্ষক বরখাস্ত

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মুজিব জন্মশতবর্ষের কেক নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান মিয়াকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে স্কুল এ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়ার হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গভর্নিং বডির সভাপতি বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পারিচালক ডা. সিরাজুল ইসলাম।

তিনি জানান, গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। ১৭ মার্চ সকালে শতবর্ষ উৎযাপন করতে গিয়ে সকলে জানতে পারেন অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান মিয়া ১৬ মার্চ বিকেলে শতবর্ষের কেক নিয়ে তার বাড়ি চলে গেছেন। তার বাড়ি গিয়ে উপস্থিত সবাই জানতে পারেন তিনি ওই কেক নিয়ে তার পরিবারের স্ত্রী সন্তানের সাথে দেখা করার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেছেন।

অধ্যক্ষর লাপাত্তা হয়ে যাওয়ার কারণে উপস্থিত সদস্যবৃন্দ, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ স্থানীয়রা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

ওই সময়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মজিবুর রহমান খান, আবুল বাশার হাওলাদারসহ স্থানীয় বাসিন্দারা অধ্যক্ষের বিচারের আশ্বাস প্রদান করেন। ছয় মাস পর সোমবার বিকেলে কলেজ সভাপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ১২ জন সদস্যের মধ্যে অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানসহ ১১ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ১১ জন সদস্যর মধ্যে ১০ জন সদস্যের মতামতের প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানকে তার দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সভায় কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উপেন্দ্র নাথ বিশ্বাসকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর দায়িত্ব প্রদান করেন গভর্নিং বডি।

গভর্নিং বডির সভাপতি আরও জানান, অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও সরকার ও প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তি খুন্ন করার একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। কেক নিয়ে মুজিব শতবর্ষ উদযাপন ভন্ডুল করাই ছিল তার উদ্দেশ্য।

তিনি জানান, গোয়েন্দা তালিকা মতে, অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান মিয়া জামায়াতের উপজেলা পরিচালনা কমিটির একজন সক্রিয় সদস্য।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দেয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তার মন্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ