১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘মৃত’ থেকে জীবিত হলেন দশমিনার প্রায় অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ !

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

দশমিনা(পটুয়াখালী)সংবাদদাতা।।
প্রয়োজনের তাগিদে যদি কখনো সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে গিয়ে মানুষের উপস্থিতিতে জানতে পারেন আপনি মারা গেছেন, তখন আপনার কেমন লাগবে? বা অনুভূতিই কেমন হবে? পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ।

তাদের মধ্যে আছেন সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবিসহ বিভিন্ন শ্রেনি পেষার মানুষ। নাম শাহ জালাল হাওলাদার (৪৯)। তিনি করোনার টিকা নিতে গিয়ে জানতে পারেন ‘মারা’ গেছেন। এতে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হন তিনি। শুধু কি শাহ জালাল! ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড থেকে সাধারন সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নিতে গিয়ে মো. নজরুল ইসলাম নামে সাবেক এক যুবলীগ নেতা জানতে পারেন তিনি বেঁচে নেই। তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানান উপজেলা নির্বাচন অফিসার। শাহ জালাল ও নজরুল ছাড়াও বেঁচে থেকে সরকারি হিসাবে ‘মৃত’ হওয়ায় বিপাকে পড়েন প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ। পরে দীর্ঘদিন অফিসপাড়ায় ঘুরতে ঘুরতে ভোটার তালিকা হাল নাগাতে জীবিত হন তারা। প্রতিনিয়ত নিজেদের জীবিত প্রামাণে বহুবার তাদের ঘুরতে হয় নির্বাচন অফিস থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে।


সরকারি খাতায় ‘মৃত’ হওয়ায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন এসব মানুষ। বঞ্চিত হন রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকেও। অনেকে সরকারি বেতন বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেন। এ মৃতদের পর্যায়ক্রমে জীবিত করতে নির্বাচন অফিসের কর্তাদের সময় লাগে প্রায় সাড়ে ৮মাস। গত বছরের নভেম্বরে শেষ হয় ভূল সংশোধনের কাজ।
জানা যায়, ২০১৫ সালের দিকে ভোটার তথ্য হালনাগাদের সময় ভুল তথ্য দিয়ে ওইসব ব্যক্তিকে মৃত দেখান তথ্য সংগ্রহকারীরা। আর যাচাই-বাছাই ছাড়াই তাতে স্বাক্ষর করেন ভোটার তথ্য হালনাগাদে দায়িত্বে থাকা সুপারভাইজাররা।
ভোটার তালিকায় ‘মৃত’ নজরুল ইসলাম বলেন, ভোটার তথ্য হালনাগাদের সময় ভূল তথ্য দিয়ে আমাকে মৃত দেখানো হয়েছিল। এ কারণে নির্বাচনে অংশ নিতে পারিনি।
এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, এ উপজেলায় ৪৭জন ব্যক্তির আবেদন সংশোধন করা হয়েছে। তাদের ভোটার আইডি সংশোধন করে জীবিত করে দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ