নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। হাসপাতালে ঢোকার আগে ময়লা আর দুর্গন্ধে চলাফেরাই দায় হয়ে পড়েছে। সিটি কর্পোরেশন প্রায় ৫ মাস ধরে ঝুঁকিপূর্ণ মেডিকেল বর্জ্য অপরাসণ করছে না বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে, সিটি কর্পোরেশনের দাবি করোনা যেন নগরীতে মহামারি আকারে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য হাসপাতালের বর্জ্য সেখানকার মাটিতেই চাপা দেয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে- বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ফটকসহ আশপাশে এলাকা বর্জ্যের দুর্গন্ধ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন বর্জ্য ফেলা হচ্ছে খোলা জায়গায়। প্রায় ৫ মাস ধরে চলছে এ অবস্থা। করোনা পরিস্থিতি ভাল না হওয়া পর্যন্ত বর্জ্য সরানো হবে না বলে সিটি কর্পোরেশন জানিয়েছে বলে দাবি হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেনের।
বর্জ্য অপসারণে অব্যবস্থাপনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন ময়লা সরিয়ে না নেয়ায় আমরা হাসপাতালের ভেতরেই গর্ত করে সেখানে ময়লা ফেলে ঢেকে রেখেছি। সাড়ে চার মাসের বেশি সময় ধরে এভাবে ময়লা সংরক্ষণ করে আসছি।’
এ অবস্থায় বিপাকে পড়ার কথা জানালেন চিকিৎসক নেতারাও।
হাসপাতালটির আউটডোর ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. সৌরভ সুতার জানান, ময়লা সংরক্ষণ করার জন্য গর্ত করতে করতে হাসপাতালের ভেতর আর জায়গা নেই। কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া। না হলে হাসপাতালের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি হুমকির মুখে পড়বে।
তবে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ও প্যানেল মেয়রের দাবি, করোনা যাতে মহামারি হয়ে না ছড়ায় সেজন্য হাসপাতালের বর্জ্য সেখানকার মাটিতেই চাপা দেয়া হচ্ছে।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, হাসপাতালের এই ময়লা-আবর্জনা মেইন শহর থেকে নিয়ে গিয়ে উন্মুক্ত স্থানে ফেলা হয়। সেখানেও মানুষের বসবাস রয়েছে। সেখানকার মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে হাসপাতালের বর্জ্য।
আর প্যানেল মেয়র গাজী নইমুল ইসলাম লিটু জানান, যেন করোনাসহ কোন রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য হাসপাতালের বর্জ্য হাসপাতালের ভেতরই মাটি চাপা দিয়ে রাখা হচ্ছে।
হাসপাতালে প্রতিদিন দেড় হাজারের বেশি রোগী থাকেন। ডাক্তার, নার্স ও রোগীর স্বজনসহ গড়ে অন্তত ১০ হাজার মানুষের কয়েক মেট্রিক টন বর্জ্য জমা হয় এখানে।