১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

যমুনা পাড়ের জলকন্যা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সেলিম শিকদার,সিরাজগঞ্জঃ-
বৈশিক মহামরি করোনা কালিন বর্তমান সময়ে দেশের সকল স্কুল বন্ধ। স্কুল পড়ুয়া অনেক শিশুই অনেকটাই অলস ভাবে সময় পাড় করছে।
এ সকল স্কুল পড়ুয়া মেধাবী কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন গ্রাম বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করে।
আবার এদের একাংশ এই যমুনার পাড়ে বসবাস।এসকল স্থানে বসবাসকারী কমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগ দরিদ্র কৃষক বা দিনমজুরের সন্তান।
বিশ্ব ব্যাপি চলমান কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস চলা কালিন সময়ে উপার্জনের পথ কমে যাওয়ায় দরিদ্র
মাতা-পিতার সংসার দরিদ্রতার কষাঘাতে অনেকেই হিমশিম খেয়ে গেছেন।
আবার এদের অনেকে মানবেতর জীবনপার করছে।বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান,
দেশের উত্তর ও পশ্চিমঅঞ্চল থেকে রাজধানী গামি বাঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ অভিমুখে প্রতিদিনই নিয়মিত ভাবে (১) বনলতা এক্সপ্রেস (২) সিল্কসিটি,(৩) পদ্মা এক্সপ্রেস রাজশাহী থেকে (৪) সুন্দরবন ও (৫) চিত্রা এক্সপ্রেস খুলনা থেকে (৬) বেনাপোল এক্সপ্রেস বেনাপোল থেকে (৭) পঞ্চগড় ও (৮) একতা এক্সপ্রেস পঞ্চগড় থেকে (৯)নীলসাগর এক্সপ্রেস চিলাহাটি থেকে (১০) লালমনিরহাট এক্সপ্রেস লালমনিরহাট থেকে এবং (১১) কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস কুড়িগ্রাম থেকে নিয়মিত ভাবে চলাচল করে প্রতিদিন।যমুনাপাড়ে বসবাসকারী এসকল দরিদ্র মাতা-পিতার ঘরে জন্মনেয়া কমলমতি শিশু ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকাংশইদারিদ্রতার কারনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে অনেকেই ঝড়েপরে।
আবার এদের মধ্যে অনেকেই শুধু বৈশিক মহামরি নয়,এদের অনেকেই পবিত্র ঈদ বা যে কোন ছুটিকালিন সময়ে রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গে আগমন কালে অথবা ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ছুটে চলার সময়ে রেলপথে বৃহত্তর উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু বহুমূখী যমুনা সেতুর পূর্বপাড়ে ট্রেন থামলে তৃষ্ণাত্বক মানুষের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য পানির পাত্র জগ বা কলস ভর্তি পানি এবং গ্লাস হাতে নিয়ে যাত্রীদের পানি পান করানোর উদ্যেশে দাড়িয়ে থাকেন স্কুল পড়ুয়া গরিব কন্যা শিশুরা ।
মানুষদের পানি পান করিয়ে টাকা উপার্জন উদ্যেশ্যনয়,আত্মতৃপ্তি মুলত বিষয়। এ সকল জলকন্যাদের খুশি হয়ে কেহ দুই এক টাকা দিলে খুশি,
না দিলেও খুশি থাকেন এসকল জলকন্যারা।
এসকল স্থানে বসবাসকারী দরিদ্র মাতা-পিতার ঘরে জন্মগ্রহনকরা মানব সেবা প্রদানকারী জলকন্যাদের খবর পড়ে কেহই রাখে না?
চলমান বৈশিক মহামরি করোনা কালিন সময়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং জিআরপি সদস্যগনেরা স্টেশন এলাকাতে রেলগাড়ি আসলে ঐ সকল জলকন্যাদেরকে আর গাড়ির কাছে আসতে দিচ্ছে না।
তবুও তারা থেমেনেই, জলভরা জগ কলস বা বোতলজাত পানি নিয়ে দুরেই দাড়িয়ে থাকেন মানব সেবা দানের আশায়।
এ সকল দরিদ্র মাতা-পিতার সন্তান মানবসেবা দানকারি জলকন্যাদের পাশে দাড়ানো ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ দেশের দানবীর,দানশীল মানুষেদের এসকল জলকন্যাদের পাশে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।

বঙ্গবন্ধু মহুমূখী যমুনা সেতু পূর্বপাড়ে দুরথেকে গোপনে জলকন্যাদের চিত্রধারন।

সর্বশেষ