২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

যানজটে কারণে ভেঙে গেলো তিথির ঢাবিতে পড়ার স্বপ্ন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

অনলাইন ডেস্ক ::: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বরিশাল কেন্দ্রে দেরি করে আসায় পরীক্ষা দিতে পারেননি এক শিক্ষার্থী। যানজটের কারণে দেরি হয়েছে- জানালেও মানতে নারাজ ছিলেন ঢাবির প্রতিনিধি দল। এ কারণে তাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

তিথি রায় নামের ওই শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ছিল তার আসন। কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি না পাওয়ায় তিথি তার হাতে থাকা প্রবেশপত্র ছিঁড়ে ফেলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ছিল ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। কিন্তু তিথি রায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় গেটের সামনে এসে পৌঁছায় বেলা ১২টার একটু আগে। এরপর সে তড়িঘড়ি করে ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে বাধা দেন সেখানকার গার্ডরা।

গেট থেকে বিষয়টি দায়িত্বরতদের জানানো হয়। কিন্তু সেখান থেকে উত্তর আসে পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা পূর্বে শিক্ষার্থী কেন্দ্রে প্রবেশ করবে। কিন্তু সে তো এসেছে পরীক্ষা শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা পূর্বে। ফলে তাকে কোনোভাবেই ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এভাবে পরীক্ষার সময় শেষ হয়ে গেলে হাতে থাকা প্রবেশপত্র ছিঁড়ে ফেলে স্থান ত্যাগ করেন ওই শিক্ষার্থী। এ সময় তিথির সঙ্গে তার মাও ছিলেন।

তার মা গীতা রায় জানান, তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জে। সেখান থেকে গাড়িযোগে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এসে নামেন। এরপর টেম্পোযোগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের চৌমাথা এবং নগরীর সাগরদী এলাকায় যানজটের কারণে তাদের বিলম্ব হয়। এতে করে তার মেয়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আশা ভেঙে গেলো বলে আক্ষেপ করেন তিনি। ঢাবিতে ভর্তির জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছে বলেও জানান তিথির মা।

পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ববির প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম বলেন, ‘নিয়ম হচ্ছে পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা আগে হলে প্রবেশ করবে শিক্ষার্থীরা। সেখানে সে এসেছে পরীক্ষা শেষ হওয়ার আধাঘণ্টা পূর্বে। এরপরও আমি ঢাবির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলে তাকে হলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু প্রতিনিধি দল রাজি না হওয়ায় তাকে অনুমতি দেওয়া যায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তার চেয়ে বেশি দূরত্ব থেকেও শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে এসেছে। তারা তো সকাল ৭টা থেকে হলের সামনে অপেক্ষা করে বেলা সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রে প্রবেশ করেছে। তারা পারলো সে পারলো না কেন?’

সর্বশেষ