৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

যেসব খাবার গরম করে খেলে হতে পারে বিপদ?

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

লাইফস্টাইল।।
ঠান্ডা খাবার খেতে কারই বা ভালো লাগে? কিন্তু ব্যস্ততার যুগে সব সময়ে রান্না করে গরম গরম খাওয়ার সময় থাকে না। একবারে অনেকটা বেশি রান্না করে সেটি দিয়েই দু’তিন বেলা চালিয়ে নেয়ার প্রবণতা থাকে অনেকের। অনেকে আবার কাজের সূত্রে বাড়িতে একাই থাকেন। তাই একার জন্য রান্না করে খাওয়াটাও বেশ কষ্টসাধ্য কাজ। তারা ভরসা করেন বাইরের খাবারে। খাওয়ার আগে কেবল গরম করে নিলেই হলো।

খাবার গরম করার ক্ষেত্রে মাইক্রোওয়েভেই আস্থা রাখেন বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, কিছু কিছু খাবারের ক্ষেত্রে এই অভ্যাস মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।

‘জার্নাল অব এগ্রিকালচারাল ফুড অ্যান্ড কেমিস্ট্রি’-র একটি প্রতিবেদনে একদল গবেষক এর ক্ষতিকর দিক নিয়ে সচেতন করেছেন। তারা দেখিয়েছেন, মাইক্রোওয়েভে গরম করা খাবারে ভিটামিন বি১২ ক্রমে তার কার্যকারিতা হারায়। এক একবার খাবার গরম করলে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভিটামিন বি১২ নষ্ট হয় খাবারের। তাছাড়া, বেশ কিছু খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করলে সেই খাবারের খাদ্যগুণ নষ্ট হয় ব্যাপকভাবে।

কোন খাবারগুলি মাইক্রোওয়েভে গরম করা উচিত নয়?

মুরগির মাংস: মুরগির মাংস বেশি পরিমাণে রান্না করে পরের দিন গরম করে খাওয়ার কথা ভাবছেন? এই ভুল না করাই ভালো। মুরগির মাংস গরম করার সময়ে প্রোটিনের গঠন খানিকটা বদলে যায়, যা খেলে বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। একান্তই মাংস বেশি পরিমাণে রান্না করে ফেললে ফ্রিজ থেকে বের করে ঘরোয়া তাপমাত্রায় রেখে খান।

আলুর তরকারি: আলুর তরকারি গরম করে খাবেন না। এতে আলুর যে নিজস্ব পুষ্টিগুণ, তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। গরম করা আলুর তরকারি খেলে পেটের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।

শাক: যেকোনো ধরনের শাকও দ্বিতীয় বার গরম করা উচিত নয়। শাকে নাইট্রেট থাকে। রান্না করা শাকের তরকারি পুনরায় গরম করা হলে ওই নাইট্রেট থেকে নাইট্রোস্যামাইন নামের এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয় যা শরীরের ক্ষতি করে।

ডিম: ডিমের ঝোল, ডিম সেদ্ধ বা অমলেট, কোনোটিই গরম করে খাওয়া ভালো নয়। কারণ ডিম দ্বিতীয় বার গরম করলে তার প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায় এবং ডিমের মধ্যেই নানা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। এই ব্যাকটেরিয়া পেটে গেলে শরীর খারাপ করে।

ভাত: অধিকাংশ বাড়িতে একসঙ্গে দু’বেলার ভাত তৈরি হয়। গ্যাস থেকে নামানোর পরে ভাত যদি ঘরোয়া তাপমাত্রাতেই রেখে দেয়া হয়, তাহলে ভাত যত ঠান্ডা হতে থাকে তত নানা ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। সেই ঠান্ডা হওয়া ভাত যদি আবার গরম করা হয়, তবে ব্যাকটেরিয়াগুলির ক্ষতিকারক প্রভাব আরও বৃদ্ধি পায়। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

সর্বশেষ