১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

যে ওষুধ সাধারণ মানুষ কিনতে পারবে না, সেটি আমিও নিবো না: ডা. জাফরুল্লাহ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরিশাল বাণী ডেস্ক:
দাম বেশি হওয়ায় ডাক্তারদের পরামর্শ মেনে ওষুধ খেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন করোনাভাইরাস আক্রান্ত গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমার শরীর কিছুটা ভালোর দিকে। শ্বাসকষ্ট ছিল, এখন কিছুটা কমেছে। আমি অপ্রয়োজনে ওষুধ খাই না। খবর যমুনা টিভির।

উচ্চমূল্যের প্রতিবাদস্বরূপ একটি ওষুধ গ্রহণে আপত্তি জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে যমুনা টিভিকে দেয়া বক্তব্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমার জন্যে একটি অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন এনেছে। ১০ ডোজ নিতে হবে। প্রতি ডোজের দাম ৮ হাজার টাকা। মোট ৮০ হাজার টাকা খরচা পড়বে। এই ওষুধ কি সাধারণ মানুষ নিতে পারবে? পারবে না। যে ওষুধ সাধারণ মানুষ কিনে ব্যবহার করতে পারবে না, সেই ওষুধ আমিও নিবো না।

সমাজে একজন বিশিষ্টজন তিনি। চিকিৎসকরা যদি প্রয়োজন মনে করেন তবে ওষুধ গ্রহণের বিষয়ে এমন অনড় অবস্থানে থাকা উচিত কিনা, অনেকেই তো জটিল রোগের ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে থাকেন- এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যে ওষুধ সাধারণ মানুষ কিনে ব্যবহার করতে পারবে না, সেটি আমি নিবো না। প্রয়োজনে মারা যাবো। সরকারকে ওষুধের দাম কমাতে হবে। আমাকে বিনামূল্যে দিতে চাইছে। আমার কথা হলো আমাকে বিনামূল্যে দিতে হবে না, দাম কমান যেন অসহায় মানুষের নাগালে থাকে।

সাধারণ মানুষের কাছে দোয়া চেয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বলেছেন, ওষুধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার অসঙ্গতির বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদ চলমান থাকবে।

প্রসঙ্গত, ৭৯ বছর বয়স্ক এই চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধা অনেক দিন থেকে কিডনির অসুখে ভুগছেন। তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র-উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তে র‍্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এ ছাড়া বিএসএমএমইউর পরীক্ষা থেকেও ২৮ মে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে।

সর্বশেষ