১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

যৌতুকের দাবিতে বিমান রাড্যার সৈনিকের নির্যাতনে শেবাচিম হাসপাতালে স্ত্রী!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে ঘরে আটকে কয়েক দফায় অমানুষিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী শাওন শিকদারে বিরুদ্ধে। নির্যাতনের পর তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার ও চেষ্টা চালিয়েছেন তিনি। এমন বর্বরোচিত বর্ণনা দিলেন শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা নির্যাতিতা ফাতেমা বেগম। গত মঙ্গলবার গভীর রাত ও বুধবার সকাল ১১ টায় বরিশাল (এয়ারপোর্ট) বিমানবন্দ পাংশা নামক এলাকার এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও বিমানবন্দর ইউনিটের ফোর্স নির্যাতনের শিকার ফাতেমা বেগম কে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ফাতেমা বরগুনার পাথরঘাটা থানার কালিপুর গ্রামের এমদাদুল হকের মেয়ে। এবং বরিশাল রহমতপুর বিমানবন্দরের (এমওডিসি) কর্তব্যরত রাড্যার সৈনিক শাওন শিকদার এর স্ত্রী। শাওন বরগুনা জেলার সদর শিয়ালিয়া এলাকায় স্বপন শিকদারের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে রহমতপুর পাংশা এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করে আসছেন।

ফাতেমা জানান, গত তিন বছর পূর্বে ফাতেমা বেগমের সাথে পারিবারিকভাবে শাওন শিকদারের বিয়ে হয়। বিয়ের ২ মাস পর থেকে ফাতেমার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছে স্বামী শাওন। যৌতুক এনে দিতে বারবার ফাতেমার উপর নির্যাতন চালানো হতো। সংসার জীবনের সুখের কথা চিন্তা করে ফাতেমা তার বাবা-মাকে রাজি করিয়ে ১০ লাখ টাকা যৌতুক এনে দেয়। বিয়ের এক বছরের মাথায় ফাতেমার একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। এরপর থেকে স্বামী শাওন সিকদার যৌতুকের জন্য ফের চাপ সৃষ্টি করেন। যৌতুক দাবি করে প্রায় সময় ফাতেমাকে ঘরের ভিতরে বেঁধে নির্যাতন করে। ফাতেমা স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পারে তার পরিবারকে জানানো হয়। এভাবে উভয় পরিবার বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বসে সমাধান করা হলেও তা কোনো কাজে আসেনি। বরং দিনের-পর-দিন যৌতুকের জন্য ফাতেমার ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয় শাওন।

ফতেমা আরও জানান, দাম্পত্যের কথা চিন্তা করে আমার বাবা শাওনকে গত দুই সপ্তাহ পূর্বে এক লাখ টাকা যৌতুক দেয়। যৌতুক নিয়ে কয়েকদিন শাওন ভালো থাকলেও আবার যৌতুকের জন্য মাতলামি শুরু করে দেয়।। গত মঙ্গলবার বরিশাল রহমতপুর পাংশা এলাকায় যৌতুকের দাবিতে গভীর রাতে ফাতেমাকে কয়েক দফায় নির্যাতন করে শাওন। ফাতেমা শাওনের নির্যাতনের অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘর থেকে বের হয়ে ওষুধ আনতে গেলে জনসম্মুখে ও তার ওপরে নির্যাতন করে শাওন।

বিষয়টি জানতে পেরে শাওনের রাড্যার ইউনিটির কর্মকর্তা- তার ফোর্স মহিউদ্দিন ও রেজাউল কে পাঠিয়ে ফাতেমাকে উদ্ধার করেন এবং হাসপাতালে ভর্তি করেন। ফাতেমার শশুর স্বপন সিকদার জানান, পুত্রবধু ফাতেমাকে নির্যাতনের বিষয়টি অন্যায় হয়েছে।

ফাতেমার বাবা এমদাদুল হক জানান, বিয়ের কয়েকদিন পর থেকে যৌতুকের দাবিতে আমার মেয়ে ফাতেমা কে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে শাওন। আমার মেয়ে ও নাতির কথা চিন্তা করে তাকে ১৫ দিন পূর্বে ও এক লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। এর এর পূর্বে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়েছিল। শাওন যৌতুকের নেশায় আমার মেয়েটাকে মেরে ফেলবে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে স্বজনরা জানান।।

সর্বশেষ