২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রক্তচোষা জমিদারদের সব জমির মালিক এ দেশের গরীব চাষারা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

আসাদুজ্জামানঃ

চড়া সুদ ও খাজনার টাকা দিতে না পারায় গরীব চাযীদের উপর জলুম নির্যাতন করে ভিটে মাটি কেড়ে নিয়েছিলো তখনকার শাষক ও শোষনকারী জমিদাররা।এক সময়ে সব জমির মালিক ছিলো গরীব চাষীরা। গরীবের ঐ জমির ্উপর ছিলো তাদের লোলুভ দৃস্টি। প্রথমে চড়া সুদে কৃষকদের টাকা দিতেন তারা। এর পর সুদ আসল মিলে টাকার অংক ভারী হলে কিছু জমিদার পাইক প্যাদা লাঠিয়াল দিয়ে কৃষককে স্ব পরিবারে উচ্ছেদ করে জমি দখলে নিতেন। তখন জলুম অত্যাচার ছিলো গরীবের নিত্য দিনের সাথী। এভাবেই নির্যাতন ও লুট করে রক্তচোষা জমিদার গন রাজ্যময় জমি নিজের নামে লিখে নিয়ে হাজার হাজার একর জমির মালিক হয়ে ছিলেন। তাদের নামে খতিয়ান ও রেকর্ড করে ছিলেন। তাই জমিাদররা এত সম্পদের মালিক। গরীব কৃষকরা গাছ তলায় থাকতেন. আর ভিটে মাটি কেড়ে নিয়ে জমিদাররা বিলাস বহুল বাংলো ও বাইজি নাচানোর মদের সড়াই খানা নির্মান করতেন ।এমনকি কৃষকের ঘরের সুন্দরী তরুনীরা জমিদারদের লোলুভ দৃস্টিতে পরলে রক্ষা ছিলোনা। কাশিবাস না করলে গোটা পরিবার হতো ভিটে ছাড়া ও গ্রাম ছাড়া। গরীবের সব জমি কেড়ে নেয়ার বহু যুগ পরে এক সময়ে অত্যাচারী জমিদার প্রথা বিলুপ্তি হলেও আইনি মারপ্যাচে নিজের জমি ফিরে পায়নি কৃষকরা। আমার দৃষ্টিতে ঐ সকল জমিদারদের সব জমি ঐ গরীব চাষাদের।এই বঙ্গে জমিদার প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার সাথে সাথে খাজনা না দেয়ার অযুহাতে গরীবের কেড়ে নেয়া জমিদারদের সব জমির মালিকানা বাতিল করা উচিত ছিলো । তাহলে ঐ অত্যচারী জুলুমবাজ জমিদারদের এত জমি থাকতো না। এই সব জমির মালিক গরীব কৃষকরাই হতো । প্রতিটা গরীব প্রজার হক আছে ঐ জমিতে। জমিদার প্রথা বিলুপ্ত হলে আম জনতার রোষানল থেকে বাচতে ঐ সকল নষ্ট জমিদারদের সু চতুর উত্তরসুরীরা কিছু জমি মসজিদ মন্দির গীর্জা ও শিক্ষা প্রতিস্ঠানে দান করে এক সময়ের অত্যাচারী রক্তচোষা দানবদের পরবর্তি প্রজনম্ম হয়ে গেলো বিশাল দানবীর। এখনো তার বংশধরেরা এবং লাঠিয়াল প্যাদারা রয়ে গেছেন কৌশলী স্ব রুপে । তবে এখন আর জমিদারী দাপুটে চেহারায় নয়। . সমাজ সেবক. দানবীর. সুশীল সহ নানান নামে নানান প্যাটানে। এরা কোন দিন নিজেদের ভালো ছাড়া গরীব জনগন বা অন্য কারো মঙ্গল তাদের চোখের বিষ। এদের পক্ষে চামচারও অভাব নেই। ওরা সেই নষ্ট জমিদারদের প্রেতাত্মা।

লেখকঃঃ বার্তা প্রধান, দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল

সর্বশেষ