১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রহমতপুর ইভিএম এর যেখানে-সেখানে বাটন চেপেছে বৃদ্ধ ভোটাররা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

অনলাইন ডেস্ক।।
বাবুগঞ্জের রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মহিলা-পুরুষ ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে ইভিএম সম্পর্কে কোন ধারনা না থাকার কারণে কোন কোন বৃদ্ধ মহিলা ও পুরুষ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের সহায়তায় ভোট দিতে পেরেছে। আবার অনেকেই যেখানে সেখানে বাটন সুইজে চাপ দিয়ে বেড় হয়ে আসতে দেখা গেছে।

রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অনভিজ্ঞ ও জ্ঞানহীন অশিক্ষিত ভোটারদের কাধে ইভিএম চাপিয়ে দিয়ে গাদা দিয়ে হাল চাষ করার মত নির্বাচন করছেন।

রবিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বাবুগঞ্জের রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভোট প্রদান শুরুর পূর্বেই কয়েকশত মহিলা-পুরুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে যান।

কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনকালে প্রতিটি কেন্দ্রে দেখা যায় কারো হাতের আঙ্গুলের ছাপ নিচ্ছে না। এতে অধিকাংশ সময় তার ভোট নিশ্চিত করতে সময় নষ্ট হয়।

অপরদিকে, বৃদ্ধ ভোটাররা গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ইভিএম পদ্ধতি যানা না থাকার কারনে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের চেয়ার ছেড়ে ভোটারকে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি দেখাতে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের শিকার হন।

বাবুগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের সহায়তায় ভোট প্রদান করার সহযোগীতা করা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার বলেন এরা ইভিএম পদ্ধতি ভোট দিতে গোপনিয় বুথে প্রবেশ করে দাড়িয়ে থাকার কারনেই দেওয়ার নিয়ম দেখানো হচ্ছে তারা কোথায় দেবে তা দেখানো হচ্ছে না।

এব্যাপারে উক্ত কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার উজ্জল দেব নাথ তার কেন্দ্রের বুথের অভিযোগ শুনে তিনি ভোট কেন্দ্রে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের ভোটারদের গোপনীয় বুথে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়।

এসময় তিনি বলেন, আমার এই ভোট কেন্দ্রের অধিকাংশ ভোটার বেদে ও অশিক্ষিত সাধারন জ্ঞানহীন মানুষ। এরা ইভিএম কি জিনিস সম্পর্কে কোন ধারনা নাই। এমনকি নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা তাদের ভোটারদের ভোট দেওয়ার ধারনা পর্যন্ত দেয়নি যার ফলে ভোটাররা বুথে এসে ভিভ্রান্তির মধ্যে পড়ছে। অন্যদিকে ভোটারদের তেমন ভোট দেওয়ারও প্রশিক্ষন দেওয়া হয়নি।

এরকম অবস্থা রাজগুরু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাবুগঞ্জ সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খানপুরা আলিয়া মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্র ও বাবুগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ প্রতিটি কেন্দ্রে এরকম দৃশ্য চোখে পড়তে দেখা যায়।

এব্যাপারে কেন্দ্র পরিশর্শনে আসা বরিশাল জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা নুরুল আলম বলেন। প্রথম প্রথম সমস্যা কিছুটা হতে পারে কারন এখানের ভোটারদের প্রশিক্ষণ নেই। তবে আগামীতে এধরনে সমস্যা থাকবে না।

এসময় তাকে নির্ধারিত ৪টার ভিতর সবার ভোট নেয়া সম্ভব হবে কিনা এবং সেক্ষেত্রে কি করবেন তিনি উত্তরে বলেন ৪টার আগে যারা কেন্দ্রের ভিতরে আসবেন তাদের ভোট রাত ৮টা বাজলেও নেয়া হবে। ৪টার পর কাউকে কেন্দ্রের মধ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

সর্বশেষ